দামাস্কাস: ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হানা দামাস্কাস বিমানবন্দরে। সোমবার দামাস্কাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মিসাইল হানা চালায় ইজরায়েলি সেনা। হানায় মারা গিয়েছেন ২ জন সেনা। সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গভীর রাতে মিসাইল হানা হয়। ওই সূত্র জানাচ্ছে, ইজরায়েলের তরফে একের পর এক মিসাইল হানা হয়েছে দামাস্কাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। 


বিমানবন্দর এবং আশপাশের এলাকায় হেজবোল্লা এবং ইরান-পন্থী একটি সংগঠনের সমর্থকরা ছিলেন। সেখানে অস্ত্রাগারও ছিল। এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটেনে অবস্থিত সিরিয়ার অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদুল রহমান। এএফপি সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে।


 






দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ:
২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ইজরায়েলের সঙ্গেও তলানিতে নেমেছে সিরিয়ার সম্পর্কে। একাধিকবার বিমান হানা, মিসাইল হানা চালিয়েছে ইজরায়েল। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী এবং লেবাননের হেজবোল্লা বাহিনীর উপর আক্রমণ। 


সাধারণত ইজরায়েল তাদের আক্রমণ নিয়ে সরাসরি কিছু বলে না। যদিও ইজরায়েলের তরফে বারবার বলা হয়েছে, সিরিয়াতে তারা তাদের শত্রু ইরানকে পা রাখতে দেবে না। 


 






এর আগেও সিরিয়ার এই বিমানবন্দরের উপর হামলা করেছে ইজরায়েল। জুনে এক হামলায় এই বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই বছর সিরিয়ার যুদ্ধের কারণে সবথেকে কম মৃত্য়ু হয়েছিল। তারপরেই সোমবারের এই হামলা। ২০২২ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রায় চার হাজার মানুষ মারা যান। যা আগের বছরের মধ্যে কম। গৃহযুদ্ধে মারা গিয়েছেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। ২০১১ সালে সরকারি বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে সিরিয়ায়।  তারপর থেকেই ক্রমশ বেড়েছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। সরকারপন্থী এবং সরকার বিরোধী দুই গোষ্ঠীর সশস্ত্র লড়াইয়ে তুমুল রক্তপাত হয়েছে। এই আবহেই জড়িয়ে পড়েছে পড়শি একাধিক দেশও। বারবার যুদ্ধে ছাড়খাড় গোটা দেশ। 

আরও পড়ুন: কন্যাসন্তানের জন্ম হলেই ১১১টি গাছ রোপণ, মেয়েদেরকে মাথায় তুলে রাখে দেশের এই গ্রামটি