কলকাতা: দুর্গাপুজোয় মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখার রায় বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করলেও আগের দিনের রায়ের আংশিক পরিবর্তন করেছে আদালত। এই রায় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর উদ্যোক্তা পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমস্ত করোনা বিধি মেনে পুজো করবেন বলে জানিয়েও বলেছেন, রায় আগে হলে আরও সুবিধাজনক হত। রাজ্য সরকার সব মেনে চলবে। তবে তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রী কলকাতার বিভিন্ন বড় পুজোর উদ্যোক্তা। হাইকোর্টের রায়ে তাঁদের মন কিছুটা খারাপ। যেমন মন্ত্রী ও চেতলা অগ্রণী ক্লাবের পুজোর উদ্যোক্তা ফিরহাদ হাকিমের কথায় কিছুটা ক্ষোভের রেশ। বললেন, শপিং মল খুলেছে, পুজোর কী দোষ? মানুষ তো নিজেই সচেতন ছিল। সব প্রটেকশন নিয়ে যেত। সবার মধ্যে ডিপ্রেশন কাজ করছে। বাচ্চাদের মধ্যেও। সিনেমা হল খোলা, সব খোলা। তাহলে আর কী বলব! আরেক মন্ত্রী ও একডালিয়া এভারগ্রিনের কর্ণধার সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, অনেক আগে থাকতে নির্দেশ দিলে অর্থ বাঁচত। স্বাচ্ছন্দ্য বাঁচত। আমরা তো কোর্টের আদেশ অমান্য করতে পারব না। ক্লাবের টাকা নষ্ট হল।
এদিকে হাইকোর্টের রায় নিয়ে পাল্টা রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের প্রতিক্রিয়া, হাইকোর্টের রায় ভাল হয়েছে। সিপিএম বিধায়ক তথা সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলছেন, সরকার তো এটাই চেয়েছিল। তিনদিক খোলা মঞ্চ। তিনি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করছেন, বলছেন লোক যাতে না হয়। তাহলে আবার বিরোধিতা কেন?
আদালতের রায়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হলেও সবাই নির্দেশ মেনে চলার বিষয়ে একমত।