নয়াদিল্লি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে মিশ্র টিকা ব্যবহার করা যেতেই পারে। সম্প্রতি এমনটাই বললেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস প্রজাতি ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে মিশ্র টিকার উপর জোর দিচ্ছে একাধিক দেশ। ভারতেও সেই সম্ভাবনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে এ নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আরও তথ্য সংগ্রহ প্রয়োজন বলেই মনে করছেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।


সদ্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠেছে দেশ। তৃতীয় ঢেউ ঘিরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসকরা। তাতেই মিশ্র টিকা ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চালানো হচ্ছে। গুলেরিয়ার কথায়, ' বেশ কিছুদিন দরেই এই বিষয়টির ওপর দৃষ্টিপাত করা হচ্ছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় এমন উপায়ের কথা উঠে এসেছে যে, প্রাথমিক পর্যায়ে একটি টিকার ডোজ  দেওয়া যেতে পারে। এবং পরের বার বুস্টার শট হিসেবে আরও একটি টিকার ডোজ দেওয়া যেতে পারে। কিছু ডেটা বলছে এক্ষেত্রে বেশি মাত্রায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। আমার কিছু ডেটা অনুযায়ী মিশ্র টিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তুলনামূলক বেশি সক্ষম।


গুলেরিয়া আরও বলছেন, একটা ভবিষ্যতে ফাইজার, মডার্না, স্পুতনিক-ভি-র মতো একাধিক টিকা বাজারে চলে আসবে। তবে কোনটার সঙ্গে কোনটার মিশ্রণে ভাল কাজ হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কোন দু’টি মিশ্রণ কার্যকরী হতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। তবে হ্যাঁ, মিশ্র টিকা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা জোরালোই। তবে এই মিশ্র টিকাকরণ আগামিদিনে অন্য়তম উপায় হতেই পারে। ’


গত মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার দুই টিকার ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করেছে, আগে যা ছয় থেকে আট সপ্তাহ ছিল। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন, দুই টিকার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এমস প্রধান গুলেরিয়াও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যাঁরা একটি মাত্র টিকা নিয়েছেন, করোনার ডেল্টা প্রজাতি বিরুদ্ধে তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট না-ও হতে পারে। গবেষণাতেই দেখা গিয়েছে, একটি টিকা নিলে করোনার বিরুদ্ধে ৩৩ শতাংশ নিরাপত্তা মেলে। দু’টি টিকার ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ নিরাপত্তা পাওয়া যায়।