নয়াদিল্লি : ব্যবসা থেকে প্রতিরক্ষা, বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ দমন, ট্রাম্প - মোদির সাক্ষাতকারে উঠে এল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নেওয়া হল কিছু মাইলফলক-সিদ্ধান্ত। সন্ত্রাসবাদ দমনে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে ভারত ও আমেরিকা। দুজনেই জানিয়ে দিলেন নিজের দেশের উন্নতির থেকে বড় কিছুই নয়, সেটাই অগ্রাধিকার। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত-আমেরিকা একে অপরের পাশে রয়েছে। এদিন সন্ত্রাসবাদ দমনের লক্ষ্যে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন ট্রাম্প। ২৬/১১ মুম্বই হামলার কিং-পিন কুখ্যাত জঙ্গিনেতা তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ করতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরই বড় ঘোষণা ট্রাম্পের।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত কানাডার ব্যবসায়ী রানাকে দীর্ঘদিন ধরে দেশে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত সরকার। মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গী রানাকে পাওয়ার জন্য প্রায় দেড় দশক আগে ওয়াশিংটনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে সায় মেলেনি।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পরেই রানাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুমতি দেয় আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট। এবার ট্রাম্পও মোদিকে আশ্বস্ত করলেন সেই বিষয়ে। অবশেষে রানাকে হাতে পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হল ভারত।
'ভারতের শত্রু রানাকে প্রত্যর্পণের জন্য ধন্যবাদ ', হোয়াইট হাউসে বৈঠক শেষে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিরতা বজায় রাখতে দুই দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে সীমান্ত-সন্ত্রাসের প্রসঙ্গও। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই সীমান্ত-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। সীমান্ত সন্ত্রাস যে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, সেকথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া প্রতিরক্ষার ব্যাপারে হল বড় সিদ্ধান্ত। আমেরিকার কাছ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান স্টিলথ্ F 35 পেতে চলেছে ভারত। আকাশযুদ্ধের সমর সম্ভার বাড়াতে চলতি বছরেই চুক্তিবদ্ধ হবে দুই দেশ। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন বাংলাদেশ ইস্যু নিয়েও কথা হয় দুজনের। বৈঠক শেষে, বাংলাদেশ ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসা করা হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। বাংলাদেশের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর ( নরেন্দ্র মোদি ) উপরেই ছাড়লাম।
আরও পড়ুন :