নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে কোভিড আতঙ্কের মধ্যেই, এবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স। ইওরোপ ও আমেরিকার বেশ কিছু দেশে ইতিমধ্যেই হদিশ মিলেছে এই ভাইরাল ডিজিজের। ইংল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগালে মিলেছে এই রোগের চিহ্ন।
ভারতে এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর না মিললেও, সতর্ক কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই এয়ার পোর্ট ও বন্দর এলাকায় নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী এই রোগ? চিকিৎসকরা বলছেন, এটি এক বিশেষ ধরনের বসন্ত রোগ।
মূলত বানরের শরীর থেকে এটি ছড়ায়। বানরের শরীর থেকে অন্য প্রাণী বা মানুষের শরীরে ছড়ায় এই অসুখ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কি পক্স কোনও নতুন অসুখ নয়। আফ্রিকার বেশ কিছু এলাকায় মাঙ্কি পক্স দেখা যেত। এখন তা ছড়িয়ে পড়ছে অন্যত্র।
মাইক্রোবায়োলজিস্ট সৌগত ঘোষের কথায়, এইটা নতুন নয়। আফ্রিকায় হত। এখন ইওরোপে ঢুকেছে। সতর্ক হওয়া দরকার। চিকেন পক্সের প্রতিরোধক কিছুটা কাজ করে। ২-৪ সপ্তাহর মধ্যে কমে যায়। রোগের প্রাথমিক লক্ষণ কী?
- গায়ে বসন্তের মতো গুঁটি
- জল ফোসকা
- প্রচণ্ড জ্বালা
- সঙ্গে জ্বর
- কাঁপুনি
- মাথা যন্ত্রণা
- পিঠে ও গায়ে ব্যথা
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সায়ন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, উপসর্গ বলেছে। ৪ সপ্তাহ থাকে। কেন্দ্রের পদক্ষেপ খুব ভাল।
বিশ্বে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে মাঙ্কি ভাইরাস। স্পেন ও পর্তুগালের মতো ইউরোপের একাধিক দেশ ও আমেরিকায় মাঙ্কি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগাম সাবধান হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই একাধিক দেশকে সতর্ক করেছে তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, সঠিক সচেতনতা না থাকলে করোনার ভমতো অতিমারীও হয়ে উঠতে পারে।
ইংল্যান্ডের পর ইতিমধ্যে ইউরোপের স্পেন ও পর্তুগালের মতো একাধিক দেশেও এই ভাইরাসে আক্রান্তদের সন্ধান মিলেছে। এ ছাড়া আমেরিকাতেও এক ব্যক্তির দেহেও এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। গত ৭ মে প্রথম মাঙ্কি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর হদিস মেলে লন্ডনে। তিনি মাঙ্কি পক্সে ভুগছিলেন। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন।
এদিকে, এতদিন বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল শ্বাসনালী, ক্ষত স্থান, নাক, মুখ ইত্যাদির মাধ্যমে মানব শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। কিন্তু সম্প্রতি মাঙ্কি ভাইরাসে আক্রান্ত একাধিক ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা মনে করছেন যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। পোশাক বা ড্রপলেটের মাধ্যমেই শুধু নয়, যৌন সংসর্গের (Sexual relations) মাধ্যমেও ছড়াতে পারে মাঙ্কি ভাইরাস (Monkey Virus), এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।