তিরুঅনন্তপুরম : সপ্তাহখানেক দেরীতে দেশে পা রেখেও প্রবলভাবে অভাব মেটানোর পথে এগোচ্ছে বর্ষা (Monsoon)। আর তার জেরে কার্যত বানভাসী অবস্থা কেরলের (Kerala)। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাত্র ১২ দিনের মধ্যে ২৫ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি মিটেছে। আর অল্প সময়ের এই ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জেরেই প্রবল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কেরলবাসীকে। সেখানে তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতির জেরে ইতিমধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। প্রচুর লোককে তাঁদের আস্তানা ছেড়ে যেতে হয়েছে অন্য কোথাও।


এল নিনোর বছরে দেশে খানিকটা দেরী এলেও গত ২৪ জুন থেকে দেশব্যাপী বৃষ্টির রেখচিত্র জানান দিচ্ছে, ভারতের প্রায় সর্বত্রই কমবেশি বৃষ্টির চলেছে। যার জেরে অনেকটাই কমেছে বৃষ্টির ঘাটতিও। সপ্তাহ দু'য়েক আগে দেশজুড়ে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল প্রায় ৩০ শতাংশ। সেখানে থেকে গত ১২ দিনের বৃষ্টিপাতের পর এই মুহূর্তে তা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫ শতাংশে। যদিও দেশব্যাপী পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এখনও অনেকটা ঘাটতি পূরণ বাকি বর্ষার। তবে ইতিমধ্যে গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে কেরল ফের একবার ডুবতে বসেছে। বহু মানুষ শুধু বাসস্থানচ্যুতই হননি, ইতিমধ্যে বন্যার জেরে কেরলে প্রাণ হারাতে হয়েছে ৬ জনকে। 


গত কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যে একাধিক মানুষকে বাসস্থানচ্যুত হতে হয়েছে। পাশাপাশি ভূমিধস থেকে শুরু করে জল জমা, সবমিলিয়ে প্রবল সঙ্গীন অবস্থা তৈরি হয়েছে কেরলবাসীদের মনে। তাঁদের অনেকেরই মনে ফিরে আসছে, গতবছরের ভয়াবহ বন্যার স্মৃতি। ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের (IMD) পক্ষে কুন্নুর ও কাসারগড় জেলায় বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৭ জেলাতে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। একাধিক জেলাতে বর্ষার তীব্রতার জেরে আগামী কয়েকদিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসনগুলি। নদীতে মাছ ধরা বা অন্য কোনও কাজের জন্য যেন এই সময় বাসিন্দারা না নামেন, তেমন সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কেরলের বেশ কয়েকটি জেলায় পৌঁছে গিয়েছে NDRF-র দল।                               


আরও পড়ুন- 'ভোটের ফলপ্রকাশের পরেও ১০ দিন রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী' নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial