তিরুঅনন্তপুরম : দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ু শক্তি সঞ্চয় করায় রাজ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই বর্ষার মুখ দেখতে পারে কেরল। দক্ষিণের রাজ্য সম্পর্কে এমনই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্ডিয়ান মিটিওরলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট।


বর্ষার আগমন কোনও দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সারা বছর এই সময়ের জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন কৃষকরা। তাদের জমিতে ফলনের ওপর দেশের অর্থনীতি নানাভাবে নির্ভর করে। মূলত, হাওয়ার গতি, টানা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও মেঘের অবস্থানের ওপর কোনও স্থানের বর্ষা নির্ভর করে।


বুববারই আইএমডি তার বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেরলে এখন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ আরব সাগরের ওপর পশ্চিমের বাতাস আরও শক্তিশালী ও ঘন হয়েছে। উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী, কেরলের উপকূল ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর এখন মেঘে ঢেকে গিয়েছে। যার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে রাজ্যের ওপর। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকেই বর্ষা শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কেরলে। 


সম্প্রতি দেশের দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাসের সম্ভাবনার কথা বলেছে আইএমডি। সেখানে বলা হয়েছে, এবার সম্ভবত স্বাভাবিক বর্ষা দেখা যাবে দেশে (১০১ শতাংশ)। ১৯৬১ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত  'লং পিরিয়ড অ্যাভারেজ রেনফল' ৮৮ সিএম। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইন্ডিয়ান মিটিওরলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণে নজর রাখে।


তবে শুধু কেরলই নয়, উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখছে আইএমডি। সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল এম মহাপাত্র জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।এই বৃষ্টিপাতের ফলে পশ্চিম হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আবহবিদরা বলছেন, জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই চার মাসের বৃষ্টিপাতের ওপর দেশের কৃষিকাজ অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এই ৭০শতাংশ বৃষ্টিপাতের ওপর চাল, সয়াবিন, তুলা চাষ নির্ভর করে। গত দু বছর ভালো বৃষ্টিপাত হওয়ায় দেশের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। সেই কারণে কোভিড মহামারীর মধ্যেও জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যেতে পারছেন তারা।