নয়াদিল্লি: আবির্ভূত হওয়া ইস্তক তাকে নিয়ে হইচই সর্বত্র (AI Dominance)। জাদুদণ্ড বললেও ভুল হয় না তাকে। কারণ কৃত্রিম মেধা তথা Artificial Intelligence-এর দৌলতে কল্পনা-বাস্তবের মধ্যে ফারাক ঘুচে যাচ্ছে প্রায় নিত্যদিনই। অসম্ভব বলে থাকছে না আর কিছুই। কিন্তু প্রযুক্তির এই বিপ্লবই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্মজীবী মানুষের (Tech News)। AI-এর বাড়বাড়ন্তে কর্মজীবী ভারতীয়দের ৭৪ শতংশই চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন বলে এ বার সামনে এর রিপোর্ট (Microsoft Survey)। 


মাইক্রোসফ্টের তরফে 'ওয়র্ক ট্রেন্ট ইন্ডেক্স ২০২৩' নামের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। কর্মজীবী মানুষকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়, তারই ফলাফল সামনে আনা হয়েছে। ওই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ৭৪ শতাংশ কর্মজীবী ভারতীয়ই চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন। হাতে হাতে AI পৌঁছে গেলে, তাঁদের রুজি-রোজগারে টান পড়বে বলে দুশ্চিন্তা ভর করেছে তাঁদের মাথায়। 


গত কয়েক মাসে ChatGPT, Google Bard এবং Microsoft Bing Chat একে একে আত্মপ্রকাশ করায় এমনিতেই চাকরিজীবী মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। সাধারণ কর্মজীবী মানুষের মনেও আশঙ্কার মেঘ জমা হতে শুরু করেছে। সংস্থাগুলি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেলে, খেটে খাওয়া মানুষের প্রয়োজন ফুরোবে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাতে ভবিষ্যৎ নিয়ে দোলাচলে পড়েছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন: ChatGPT Update: মাসে ১০০ কোটি 'ইউনিক ইউজার', চ্যাটজিপিটির প্রস্তুতকারক ওপেনএআই ভাঙছে সব রেকর্ড


ওই সমীক্ষায় ইতিবাচক দিকও ধরা পড়েছে যদিও। দেখা গিয়েছে, ইদানীং কালে বহু কর্মজীবী মানুষ আবার AI ব্যবহার করছেন। নিজেদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন নিজে থেকেই। কাজের ভার লাঘব করতে ৮৩ শতাংশ কর্মজীবী মানুষ AI ব্যবহার করতে উৎসুক বলেও দাবি করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। 


বিশ্বের ৩১টি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্ত প্রায় ৩১ হাজার মানুষকে নিয়ে ওই সমীক্ষা চালানো হয়। ভারতেও চালানো হয় সমীক্ষাটি। এ ছাডা়ও ইমেল, ভিডিও মিটিং এবং বিভিন্ন অ্যাপ মারফতও মতামত গ্রহণ করা হয়। লিঙ্কডইন থেকেও নেওয়া হয় মতামত। 


AI-কাজে লাগানো নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকদের মতামতও নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মতে, AI-এর সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে আরও কর্মদক্ষ হতে হবে কর্মীদের। এ ব্যাপারে একমত ৯০ শতাংশ আধিকারিকরা। যদিও ৭৮ শতাংশ কর্মজীবী ভারতীয়ের দাবি, কর্মদক্ষতাকে উৎকর্ষতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার তেমন সুযোগ সুবিধা এখনও হাতে নেই তাঁদের। সুযোগ পেলে ছাড়বেন না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও ম্যানেজার পর্যায়ের আধিকারিকদের দাবি, AI কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই তাঁদের। তবে তার জন্য কর্মী ছেঁটে ফেলা যুক্তিযুক্ত নয়।