ভোপাল: বেসরকারি সেক্টরে মধ্যপ্রদেশের স্থানীয় যুবকদের ৭০ শতাংশ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতে আইন আনার কথা ভাবছে তাঁর সরকার। বিধানসভায় জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । মধ্যপ্রদেশে পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও অন্যান্য কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় ‘বাইরের রাজ্য থেকে আসা প্রার্থীদের’ বয়সসীমা শিথিল করা সংক্রান্ত প্রশ্নের ওপর আলোচনায় তিনি এটা জানান।
গত বছর রাজ্যে সরকার গড়ার পর তাঁর সরকার মধ্যপ্রদেশের ছেলেমেয়েদের ৭০ শতাংশ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা শিল্পসংস্থাগুলিকে ইনসেনটিভ দেবে বলে ঘোষণা করেছিলেন কমল নাথ, এমনকী বিহার ও উত্তরপ্রদেশের ছেলেমেয়েরা মধ্যপ্রদেশে কাজ পাচ্ছে, স্থানীয় চাকুরিপ্রত্যাশীরা বঞ্চিত হচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি, যা নিয়ে শোকমল নাথরগোল হয়।
এদিন বিধানসভায় আলোচনার সময় কমল নাথ নিজের ভাষণে সেই বক্তব্যের উল্লেখ করে বলেন, এজন্য উত্তরপ্রদেশ, বিহারের বহু নেতা তাঁর সমালোচনা করেছেন, কিন্তু তাঁর সরকার স্থানীয় যুবক, যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগের বন্দোবস্ত করায় দায়বদ্ধ। কমলনাথ আরও বলেন, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের সরকার চাকরির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় স্থানীয় ভাষার পেপার রেখেছে, যার ফলে সেখানে মধ্যপ্রদেশের ছেলেমেয়েদের সুযোগ কমে যাচ্ছে। তাই রাজ্যের ছেলেমেয়েদের চাকরিতে অগ্রাধিকার পাওয়া সুনিশ্চিত করবে মধ্যপ্রদেশ সরকারও।
বিজেপি বিধায়ক যশপাল সিংহ শিসোদিয়া উল্লেখ করেন, রাজ্যে চাকরির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। রাজ্য প্রশাসন সংক্রান্ত মন্ত্রী গোবিন্দ সিংহ সভাকে জানান, সু্প্রিম কোর্টের এক রায় কার্যকর করতেই চাকরির পরীক্ষায় ‘বহিরাগত’ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের সীমা তুলে নেওয়া হয়েছে।