কলকাতা : রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত। এই আবহেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আজই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে রাজভবন সূত্রের খবর। এনিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
তিনি বললেন, ‘রাজ্যপাল কেন দিল্লি যাচ্ছেন তা আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কিন্তু যে ধরনের আবহ তৈরি হয়েছে, ভারতের ইতিহাসে প্রথম দেখা যাচ্ছে যে, রাজ্যপাল প্রতিদিন সকাল-বিকাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যা খুশি তাই বলে যাচ্ছেন। সাংবিধানিক রীতি-নীতি, প্রশাসনিক নিয়ম-কানুন কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে, একেবারে বিজেপির মুখপাত্রের মতো তিনি তাঁর কথা বলে চলেছেন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। যার কোনও ভিত্তি নেই। কতগুলি ভিত্তিহীন, অবাস্তব বা আজগুবি কথা বলে এখানে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছেন যেন, পশ্চিমবঙ্গে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন লড়াই চলছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে গিয়েছে। একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। কেন্দ্রের শাসকদলের ষড়যন্ত্র আছে। ওদের গোপন পরিকল্পনা আছে। যেহেতু নির্বাচনে পরাজয়টা মেনে নিতে পারছে না কোনও মতেই, তাই বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে ওরা একটা ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি করছে।'
রাজ্যপালের দিল্লি-যাত্রা প্রসঙ্গে রাজভবন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালের। বিশেষ করে যেখানে গতকালই রাজ্যপাল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিধানসভা ভোটের আগেও বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পর রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে তিনি বারেবারেই সরব হয়েছেন। আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশ প্রশাসনের দিকে। ভোটে হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিনি নিজেই কোচবিহার ও পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত দেখা দিয়েছিল।