১৮ বছরের বিধি ছিন্দওয়াড়া জেলার মেয়ে। গত মাসে ডাক্তারি প্রবেশিকা নিটে বসেন তিনি। অনলাইনে ফল বার হলে দেখা যায়, তিনি মোটে ৬ পেয়েছেন। এরপরই হতাশায় ভেঙে পড়েন তিনি। বাবা মা বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন, ওএমআর শিট বার করেন তাঁরা, রেজাল্ট সত্যি কিনা জানতে। তাতে দেখা যায়, ৬ নয়, তিনি ৫৯০ পেয়েছেন। কিন্তু পরীক্ষার প্রকৃত ফল দেখে যেতে পারলেন না বিধি। মঙ্গলবার নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
এ বছর নিট নিয়ে একাধিক বিতর্ক হয়েছে। মাত্র কদিন আগে কয়েকজন পড়ুয়া অভিযোগ করেন, তাঁদের ওএমআর শিটে ভুল রয়েছে। বিহাকে বিকাশ গোয়েল নামে এক ছাত্র নিটে মাত্র ১০ পান কিন্তু ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখা যায়, ৭২০-র মধ্যে ৬১৫ পেয়েছেন তিনি। তামিলনাড়ুতেও এক ছাত্রের নম্বর এসেছে ০, পরিবারের দাবি, তাঁর উত্তরপত্রে গন্ডগোল করা হয়েছে। আর এক ছাত্রের নম্বর আসে ২৪৮, পরে জানা যায়, আসলে তিনি পেয়েছেন ৫৯৪।
নিট যারা নিয়েছে সেই ন্য়াশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-র অবশ্য দাবি, পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার পরেই নিটের ফল বার করা হয়েছে, তাতে কোনও গন্ডগোল নেই। তবে তারা বলেছে, যদি কারও অভিযোগ সত্যি হয়, তবে সেইমত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বছর করোনার মধ্যে নিট পরীক্ষা হওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থী-অভিভাবক আপত্তি জানিয়েছিলেন। পরীক্ষার আগেও চাপ নিতে না পেরে আত্মহত্যা করেন জনাকয়েক পরীক্ষার্থী।