মুম্বই: সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউড সরগরম নেপোটিজম বিতর্ক নিয়ে। কিন্তু আলোচনাটা হওয়া উচিত ছিল একজন অভিনেতার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে, স্বজনপোষণ নিয়ে নয়। মনে করেন অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা।
রিচা জানান, একসময় দুজনে একসঙ্গে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিতেন। সুশান্ত তাঁকে বাইকে চড়িয়ে নিয়েও যেতেন রিহার্সালে।
একসময়ের ভাল বন্ধু সুশান্তের মৃত্যুর পর বাকরুদ্ধ হয়ে যান তিনিও। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে সুশান্তের বান্ধবী ও ঘনিষ্ঠদের ট্রোল করা শুরু হয়েছে, তাতে বিরক্তই রিচা। তাঁর মতে, এই দোষারোপের প্রবণতা, সুশান্তের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি থেকেই নজর ঘুরিয়ে দিচ্ছে। ''এইসব দেখে শুনে আমার একটা প্রবাদ মনে পড়ে যাচ্ছে..'চিতা পর রোটি সেঁকনা''
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে কারা ভিতরের লোক আর কারা বহিরাগত এই নিয়ে শুরু হয় জোর তরজা। তবে এই শিবিরিকরণে বিশ্বাসী নন রিচা। বরং তিনি মনে করেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দুই ধরনের মানুষ আছেন। একদল দয়ালু, অন্যরা নির্দয়।
রিচার মতো, ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত 'ভেতরের লোক'দের অনেকেই দয়াবান, ভদ্র হয়। আবার বহিরাগত অনেকেই আবার অহংকারী। রিচাকে অনেকসময় বহিরাগতরাই সমস্যায় ফেলেছেন। তারপর নিজের চেষ্টাতেই বিশ্বাসঘাতকতার আঘাত কাটিয়ে উঠেছেন, দাবি তাঁর।
''স্বজনপোষণ কথাটা শুনলেই আমার জোরে হাসি পায়!...তারকাসন্তানদের আমি ঘৃণা করি না। আর করবই বা কেন? কারও বাবা যদি তারকা হয়, তারা কী করবে? আমরা কি আমাদের বাবা-মা, পরিবার, বংশ পরিচয় নিয়ে লজ্জিত হই?''
‘স্টার-কিডদেরও অনেক প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়। ...তাঁদের সমস্যাটাও আমি বুঝব না, যতক্ষণ না সেই জায়গায় গিয়ে দাঁড়াই। ’