মুম্বই: শিল্পপতি মুকেশ অম্বানি বাড়ির পাশে কিছুদিন আগে জিলেটিন ভরা যে স্করপিও বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, সেটির মালিক মনসুখ হিরেনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হল। সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে যে, গাড়ির মালিক আত্মহত্যা করেছেন। কলওয়া এলাকায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মনসুখ হিরেনের ঠানেতে কার ডেকোরের ব্যবসা রয়েছে। তিনি সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন। তাঁর স্ত্রী বিমলা হিরেনও সামাজিক কাজকর্মে জড়িত।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মনসুখ হিরেনের মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ওই ব্যক্তি পুরো মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। আমি তাঁকে অবিলম্বে নিরাপত্তা দেওয়ারও দাবি জানিয়েছিলাম। পুরো ঘটনা খুবই জটিল বলে মনে হচ্ছে। পুরো মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া দরকার। এই দাবি কিছুদিন আগে বিধানসভাতেও তুলেছিলাম।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রিয়ালেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান অম্বানির বহুতল আবাসন অ্যান্টিলিয়া-র কাছে সন্ধেয় একটি এসইউভি (স্করপিও) থেকে আড়াই কিলোগ্রাম জিলেটিন স্টিক (বিস্ফোরক সামগ্রী) বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
এসইউভি-র ভেতরে একটি চিঠিও পাওয়া গিয়েছিল। ওই চিঠিতে অম্বানি ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। পুলিশের তদন্তে এখনও পর্যন্ত এই মামলায় কোনও ধরনের জঙ্গিযোগের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুকেশ অম্বানির বাড়ির পাশে গাড়িতে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় মুম্বই পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফড়নবীশ। তিনি এই মামলায় এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন।
বিধানসভায় ফড়নবীশ প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, এই মামলার তদন্ত যে অফিসারকে দেওয়া হয়েছে, তাঁকে কিছুদিন আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনটা কেন হল?