ওঙ্কার ঠাকুমার জন্য সাধারণ একটি নোকিয়া ফোন অর্ডার দিয়েছিলেন। কিন্তু ফোন হাতে পাননি তিনি। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে সন্তোষজনক কিছু বলতে পারেনি আমাজন কাস্টমার সার্ভিস শুধু জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। ফোনের টাকা মেটানোর পরেও তা হাতে না আসায় ক্ষুব্ধ ওঙ্কার সোজা চিঠি লেখেন আমাজন সিইও জেফ বেজোসকে। কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন আমাজন এক্সিকিউটিভরা, ফোনের দাম তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়।
ওঙ্কার লিখেছিলেন, আমি আপনাদের কাস্টমার সার্ভিস ও ডেলিভারির নিয়মকানুন নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। আমাজন থেকে যে ফোন অর্ডার করেছিলাম, তা হাতে তো আসেইনি, উল্টে রেখে গিয়েছিল সোসাইটি গেটে, তা চুরি হয়ে গিয়েছে। ডেলিভারির ব্যাপারে কোনও ফোনও আসেনি আমার কাছে। এরপরেও আপনাদের কাস্টমার সার্ভিস বারবার বলে চলেছে, তদন্ত চলছে, আর আমি কোনও রোবটের সঙ্গে কথা বলছি কিনার মত স্ট্যান্ডার্ড রিপ্লাই। গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পাঠাচ্ছি আমি। পুরো ঘটনা অত্যন্ত বিরক্তিকর, এরপরেও আমাজন থেকে কিছু কিনতে গেলে আমায় ভাবতে হবে।
জেফ বেজোস নিজে জানিয়েছেন, ক্রেতাদের প্রতিটি ইমেল খুঁটিয়ে পড়েন তিনি। তবে সরাসরি জবাব দেন না, পাঠিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট এক্সিকিউটিভের কাছে। ওঙ্কারের ক্ষেত্রেও তাই হয়, তাঁর দেওয়া সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন এক্সিকিউটিভরা। দেখা যায়, ফোন ঠিক ঠিকানায় পৌঁছনো হলেও মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি, ডেলিভারি পার্সন সোসাইটির গেটেই তা রেখে দিয়ে আসেন। এরপর একজন সেই পার্সল তুলে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে যায়। ফোনের দাম ওঙ্কারকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
ওঙ্কার জানিয়েছেন, আমাজনের পরিষেবায় তিনি খুশি, তাদের থেকে কেনাকাটায় আর তাঁর সমস্যা নেই।