কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল : এক দেবাঞ্জন দেবেই রক্ষে নেই ! এবার পুলিশের জালে আরও এক প্রতারক। পশ্চিম বর্ধমান শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন জনের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে অবশেষে গ্রেফতার মুন্না। ঝাড়খণ্ডের দুমকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ দুমকা আদালত থেকে ৬ দিনের প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে নিয়ে এসেছে অভিযুক্ত মুন্না ডোমকে।
জানা গেছে, প্রতারণার ফাঁদ পাততে কখনও সে হয়েছে সিবিআই অফিসার। কখনও পুলিশ অফিসার, কখনও হিউম্যান রাইটসের আধিকারিক, তো কখনও আবার নকল প্রেসকার্ড তৈরি করে হয়েছে সাংবাদিক। বিভিন্ন আইকার্ডে সরকারি লোগো ব্যবহার করে জালিয়াতি করে গেছে চিত্তরঞ্জনের মুন্না ডোম ওরফে এমকে সিং।
অভিযোগ, কাউকে চাকরি দেওয়ার নামে, কাউকে সিবিআই অফিসার সেজে ব্ল্যাকমেল করে সে আর্থিক প্রতারণা করে গেছে দিনের পর দিন। চাকরির নামে সে এক একজনের সঙ্গে ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতারিত করেছে। তার পরেই চিত্তরঞ্জন ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল সে। সেই পলাতক মুন্নাই অবশেষে ধরা পড়েছে ঝাড়খণ্ডের দুমকায়।
অভিযোগ, লকডাউনে ম্যাজিস্ট্রেট সেজে সে রাস্তায় তোলাবাজি করছিল। বাইক আরোহী, গাড়ি চালক ও দোকানদারদের কাছ থেকে ভুয়ো অফিসার সেজে টাকা আদায় করার সময় ধরা পড়ে। স্থানীয়রাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সেই খবর পেয়ে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ দুমকা আদালত থেকে ৬ দিনের প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে তাকে নিয়ে আসে। পুলিশ তার কাছ থেকে নকল সিবিআই অফিসারের কার্ড, ভুয়ো প্রেস কার্ড, পুলিশের লাঠি, মানবধিকার সংগঠনের কার্ড উদ্ধার করেছে। প্রতারিতদের দাবি, তার চারচাকা ও দু'চাকা গাড়িতে পুলিশ লেখা স্টিকার দেখা যেত।
মুন্নার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। চিত্তরঞ্জনে থাকতে থাকতেই সে বারবার ডেরা বদলেছে। লকডাউন থাকতেই সে পালিয়ে যায়। দুমকাতে গিয়েও প্রতারণা শুরু করেছিল। ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে লকডাউনে গাড়ি চেকিং ও দোকানে অভিযান চালিয়ে তোলা আদায় করতে গিয়েই অবশেষে হাতনাতে ধরা পড়ল সে।