রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর(মুর্শিদাবাদ) : জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে রয়েছে, তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম। নানা ধরনের অপরাধীদের বাগে আনতে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এত বড় পদে থেকেও ছোট ছোট বিষয়ও গুরুত্ব দিতে জানেন তিনি। নিজের কর্তব্যজ্ঞান-মানবিকতা জানেন তিনি। কথা হচ্ছে, মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকারের।
এহেন পুলিশ আধিকারিককে চিনতে পারেননি পেয়ারা বিক্রেতা! তাই তাঁকেই পেয়ারার ভ্যান সামলাতে দিয়ে খেতে চলে গেলেন! ২০ মিনিট ধরে পেয়ারা ভর্তি ভ্যান সামলালেন মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও।
ভ্যান থেকে পেয়ারা বেছে নিচ্ছেন ক্রেতারা। আর তা প্লাস্টিকে ভরে, অপটু হাতে দাঁড়িপাল্লায় মাপছেন এই ব্যক্তি। হিসেব করে ক্রেতাদের থেকে টাকা নিচ্ছেন। ব্যালেন্স বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ইনি পেয়ারা বিক্রেতা নন। গোটা বিষয়ট প্রকাশ্যে এল জানা গেল, ইনি মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার। বহরমপুর বাজারে লালদিঘির পাশে সকাল সকাল পেয়ারা বিক্রি করতে দেখা গেল ASP-কে । শনিবারের এই ঘটনাই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার সকালে সাদা পোশাকে বাজারে ঘুরছিলেন তিনি। তখনই এক পেয়ারা বিক্রেতা আবদার করেন, তাঁর পেয়ারার ভ্যানটি পাহারা দিতে। তাহলে, বিক্রেতা খেতে যেতে পারেন।
আবেদনে সাড়া দেন ASP। তিনি ভ্যানের দিকে শুধু নজরই রাখেননি, পেয়ারা বিক্রিও করেন। খদ্দেররা যাতে ফিরে না যান, তাই নিজের হাতে তুলে নেন দাঁড়িপাল্লা। কিন্তু, কাকে দোকান সামলাতে দিয়েছেন, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পেয়ারা বিক্রেতা। সব জানার পর তিনি বলছেন, আমি তো বুঝতে পারিনি। আগে জানলে এমনটা করতাম না।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সাদা পোশাকে ঘুরি। সেরকমই বেরিয়েছিলাম। উনি বলেন দোকানটা দেখতে। সেটা ভাইরাল হয়ে যাবে বুঝিনি। পরিচয় গোপন রেখেই বহরমপুর শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ও সাধারণ মানুষের মন বুঝতেই শনিবার দুপুরে সাদা পোশাকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঢুঁ মেরেছিলাম , সেই রকমই কোন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।