মুর্শিদাবাদ: মাত্র ৪০ দিন আগে পৃথিবীর মুখ দেখা ফুটফুটে শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগ উঠল তারই মায়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বছর ২৭-এর চৈতালি মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।



শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়েই চরম সিদ্ধান্ত, অভিযোগ বাপের বাড়ির! মানতে নারাজ অভিযুক্তের স্বামী! মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকালে বাড়ির শৌচাগারে কাপড় জড়ানো অবস্থায় মৃতদেহটি প্রথম দেখতে পান অভিযুক্তের বৌদি! পাশেই ছিল ধারাল অস্ত্র।

অভিযুক্তের আত্মীয় ঝুমি মণ্ডল বলেন, সকালে বাচ্চাটাকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। বাথরুমের দরজা খুলতেই দেখছি কাপড়ে জড়ানো অবস্থায় রয়েছে। রক্তাক্ত। একটা ধারাল অস্ত্র। সবাইকে ডাকি।

সাত বছর আগে চৈতালির সঙ্গে নবগ্রামের বাসিন্দা বিভাস মণ্ডলের বিয়ে হয়। এটি ছিল তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান। সিজারের পর তাঁদের প্রথম সন্তানের মৃত্যু হয়।

কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন চৈতালি? তাঁর পরিবারের দাবি, নেপথ্যে রয়েছে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির অমানুষিক অত্যাচার। অভিযুক্তের বাবা দীনদয়াল মণ্ডল বলেন, ও বলত আমি নিজেও মরব সবাইকে নিয়েই মরব। নানাভাবে অত্যাচার করত ওরা।   মাঝেমধ্যে জামাইয়ের জন্য সঙ্গে ঝামেলা লেগেই থাকত। আগেও ঝামেলা হয়েছে। তিনচারবার মিটমাট হয়েছে। একবার ওরা আমাকেও অপমান করেছিল।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে স্ত্রীর শাস্তির দাবিতেই সরব হয়েছেন স্বামী। বিভাস মণ্ডল বলেন, কালকেই আমাকে ফোন করেছিল। দুধের জন্য বলে। আমি সঙ্গে সঙ্গে দুধ পাঠিয়ে দিই। কোনও ঝামেলা হয়নি। কেন মারল, শাস্তি চাই।

কোনওরকম মানসিক সমস্যা থেকে শিশুকন্যাকে খুন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।