লখনউ : এ কোন ভারত ! ধর্মীয় বিদ্বেষের এক নক্কারজনক দৃশ্যের সাক্ষী হতে হল দেশকে। স্কুলের শিক্ষিকার নির্দেশে 'সংখ্যালঘু' ছাত্রকে এসে ক্রমাগত থাপ্পড় সহপাঠীদের ! শুধু চড় মারাই নয়, সংখ্যালঘু ওই ছাত্রের সম্প্রদায় সম্পর্কে বিভিন্ন রকম কুমন্তব্য করতেও দেখা গিয়েছে তাঁরই সহপাঠীদের। আর গোটা ঘটনাক্রম ঘটেছে স্কুলের শিক্ষিকার সামনে ! বলা ভাল, তাঁর উস্কানিতেই ! উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজফফরগনগরের যে ভিডিও দেখে আলোড়ন শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) আসাদউদ্দিন ওয়েইসির পোস্ট করা ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 


প্রশ্ন উঠছে, এভাবে ধর্মীয় বিদ্বেষের বিষ কীভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছেন খোদ এক শিক্ষিকা ! মুজাফরগনগের পুলিশ সূত্রে খবর, শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে উত্তর প্রদেশের স্কুল শিক্ষা দফতর। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভাইরাল ভিডিওটিতে দু'জনকে নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছে। একজন শিক্ষিকা। অপরজন কে, সেই খোঁজ চলছে। 


যদিও ঘটনা ঘিরে তরজা থামছে না। শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে গিরোধীরা।  'অঙ্কে ওই খুদে পড়ুয়ার ভুল হওয়ায় সহপাঠীদের থাপ্পড় মারতে বলেন শিক্ষিকা। বিভেদের বিষ শিশুদের মনে বুনে স্কুলকে ঘৃণার জায়গা হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে, সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi)। একইভাবে চড়া সমালোচনা সুর সাজিয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও বলেছেন, ' উন্নত প্রযুক্তির ভরে চাঁদে পৌঁছে গেলাম আমরা, আর উল্টোদিকে দেশে বিদ্বেষের দেওয়াল তোলা হচ্ছে। বিষয়টা পরিষ্কার, দেশের উন্নতির পথে সবথেকে বড় শত্রু হচ্ছে ঘৃণা।'