মুজফ্ফরপুর: ভালবাসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালে কাউকে বরদাস্ত নয়! প্রেমিককে উস্কে মেয়ের বিরুদ্ধে বাবাকে খুন করানোর অভিযোগ উঠল মুজফফরপুরের একটি গ্রামে।
এই বছর এপ্রিল মাসের ঘটনা। পেশায় শিক্ষক এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।দেহের ময়নাতদন্তে জানা যায়, তাঁকে ১৮ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনার পর পুলিশকে মৃত ব্যক্তির মেয়ে জানায়, মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই বাবার সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকত, যাতে পুলিশের নজর গিয়ে পড়ে মায়ের উপর। মেয়ের এই বয়ান পাওয়ার পর সেই রাস্তাতেই তদন্তে এগোয় পুলিশ। কিন্তু এই অভিযোগ যে সম্পূর্ণ মিথ্যে, তা প্রথমদিকে  ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি পুলিশ।
একের পর এক পরিচিতকে জেরা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ভাড়াটেকেও। তার কথাতে প্রথম থেকেই অসঙ্গতি লক্ষ করে পুলিশ। টানা জেরার মুখে অবশেষে ভেঙে পড়ে ওই ব্যক্তি। সে জানায়, মৃত ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। কিন্তু তা কোনও দিনই মেনে নিতে পারেনি পরিবার। এই নিয়েই তাদের পরিবার অশান্তি, বাগবিতণ্ডা চলত। অবশেষে তারা ঠিক করে প্রেমের পরিণতি দিতে গেলে 'পথের কাঁটা' বাবা-মাকে সরাতে হবে।
শেষ পর্যন্ত মেয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েই ওই ভাড়াটে তার বাবাকে ১৮ বার কোপ মেরে খুন করে বলে অভিযোগ। এরপর সে গা ঢাকা দেয় আত্মীয়র বাড়ি। অন্যদিকে মেয়ে  মায়ের অবৈধ সম্পর্কের গল্প সাজায় পুলিশের কাছে। সমস্ত সন্দেহ গিয়ে পড়ে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীয়ের উপর। পুলিশ সূত্রের খবর, মেয়ের উদ্দেশ্য ছিল মাকে বাবার খুনের দায়ে জেলে পাঠিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সংসার করা। কিন্তু তা হল না।
পুলিশ সূত্রের খবর, উপযুক্ত প্রমাণ হাতে পাওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছে মেয়ের প্রেমিক ওই ভাড়াটেকে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কিনা, খোঁজ করছে পুলিশ।