নয়া দিল্লি: ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন "ন্যায়সঙ্গত" শুক্রবার এমনটাই জানাল মায়ানমায়ের জুন্টা সরকার। তাঁদের প্রধান মিত্র শক্তি এবং অস্ত্র সরবরাহকারীকেই সমর্থন করেছে তাঁরা। জুন্টার মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন যে মস্কোর সামরিক বাহিনী "তাদের দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষার জন্য যা যুক্তিযুক্ত মনে করেছে তা পালন করেছে"।
প্রসঙ্গত, গত বছরই মস্কোতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারকের প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিল জুন্টা প্রধান। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে বলেছিলেন যে রাশিয়ার সহযোগিতার জন্যই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে তাঁরা। এদিকে জুন্টা ক্ষমতায় আসার পর ১৫০০ এরও বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাফ জানিয়েছেন, মস্কোকে যে সব দেশ সমর্থন করবে তাঁদেরকে আগাম সতর্কতা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "যে দেশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার এই আগ্রাসনকে সমর্থন করবে, তাঁদের বিরুদ্ধে একযোগে সুর চড়ানো হবে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে ভারত ইউক্রেনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই সহমত পোষণ করবে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে আজ নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হবে। জানা গিয়েছে ভারতীয় সময় রাত ১টা নাগাদ রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে বৈঠকে বসছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে। এখানে এই গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে অংশ নিচ্ছে ভারত-সহ ১৫টি দেশ। রুশ আগ্রাসন না ইউক্রেনের পরিস্থিতি, কোন দেশ কার পক্ষে? আজ মধ্যরাতেই নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, চূড়ান্ত খসড়া দেখে রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে অবস্থান নেওয়া হবে। ইউক্রেনের সরকারের বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থানের ডাক রাশিয়ার। শর্ত সাপেক্ষে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার আশ্বাস ভ্লাদিমির পুতিনের। ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ মানতে হবে ইউক্রেনকে, শর্ত পুতিনের।ন্যাটো সদস্য হব না, মুচলেকা দিতে হবে ইউক্রেনকে, এমন শর্তও দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।