গাঁধীনগর: মঙ্গলবার গুজরাতের গাঁধীনগরে চারদা গ্রামে প্রয়াত হলেন যোগী প্রহ্লাদ জানি, যিনি চুনরিওয়ালা মাতাজি নামেই পরিচিত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০। তাঁর নশ্বর দেহটি রাখা হয়েছে গুজরাতের অম্বাজি মন্দির সংলগ্ন যোগীজির নিজস্ব আশ্রম-গুহায়। সেখানেই চুনরিওয়ালা মাতাজিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসছে তাঁর ভক্তকূল। ২ দিন পর সমাধিস্থ করা হবে তাঁর দেহ।


চুনরিওয়ালা মাতাজির জীবন একটি গবেষণার বিষয়বস্তু হয়ে থেকে গিয়েছে। বিজ্ঞানী থেকে চিকিৎসকমহল-- সকলেই চুনরিওয়ালা মাতাজির অনন্য জীবনধারা নিয়ে ধন্দে ছিলেন। এখানে তুলে দেওয়া হল, চুনরিওয়ালা মাতাজির জীবন সম্পর্কিত কিছু তথ্য।


বলা হয়, ১৪ বছর বয়স থেকে গত ৭৬ বছর ধরে কোনও খাবার বা জল মুখে তোলেননি চুনরিওয়ালা মাতাজি। জনশ্রুতি, দেবী অম্বা তাঁর দেখাশোনা করতেন। ফলে, মাতাজির খাবার বা জলের প্রয়োজন পড়ত না।


খাবার বা জল না নেওয়ায়, বলাই বাহুল্য মল-মূত্র ত্যাগ করেননি চুনরিওয়ালা মাতাজি।


২০১০ সালের মে মাসে, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-র আওতাধীন ডিফেন্স ইনস্টিটিউট অফ ফিজিওলজি ও অ্যালায়েড সায়েন্সেস-এর চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা ২ সপ্তাহ ধরে চুনরিওয়ালা মাতাজিকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেন তাঁর খাবার-জল না গ্রহণ করে বেঁচে থাকার দাবি ও রহস্য উন্মোচন করতে।


চিকিৎসকরা জানান, একমাত্র গার্গল করা বা স্নানের সময়েই জলের সংস্পর্শে এসেছিলেন চুনরিওয়ালা মাতাজি।


এছাড়া, আরও কয়েকটি বিষয়ের জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন চুনরিওয়ালা মাতাজি। যেমন তিনি টিপ, সিঁদুর পরতেন।


কয়েকদিন আগে, চুনরিওয়ালা মাতাজি ইচ্ছাপ্রকাশ করেন, তাঁকে যেন তাঁর পৈত্রিক গ্রাম চারদায় নিয়ে আসা হয়। জানান, তিনি সেখানে কিছু সময় কাটাতে চান।


আধ্যাত্মিক জীবনযাপন করতে ১৪ বছর বয়সেই ঘরবাড়ি ছাড়েন চুনরিওয়ালা মাতাজি। অম্বাজি মন্দিরের কাছে নিজের গুহা তৈরি করেন।