নয়াদিল্লি: অন্ধ্রপ্রদেশের চাষিরা অমরাবতীকেই রাজ্যের রাজধানী বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ অবস্থান চালাচ্ছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) সভাপতি চন্দ্রবাবু নাইডু, তাঁর স্ত্রী এন ভূবনেশ্বরী, যিনি টিডিপি প্রতিষ্ঠাতা-তেলুগু সুপারস্টার তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত এন টি রাম রাওয়ের কন্যা। হাতের সোনার বালা খুলে আন্দোলনরত কৃষকদের ডোনেট করলেন ভূবনেশ্বরী। চন্দ্রবাবু সেই সোনার বালা নিলামে বেচে আন্দোলনের প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে বলেন কৃষকদের।
গতকাল অমরাবতীর গ্রামে প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে নৈতিক সমর্থন জানাতে চন্দ্রবাবুর সফরসঙ্গী হন ভূবনেশ্বরী। তিনি একজন সফল মহিলা ব্যবসায়ী। হেরিটেজ ফুডস নামে পরিবারের মালিকানাধীন ডেয়ারি কোম্পানি চালান। সাধারণত স্বামীর সঙ্গে মন্দির দর্শন বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতে দেখা যায় তাঁকে। বুধবার সেই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হন বহু মানুষ, যখন চন্দ্রবাবুর সঙ্গে তাঁকে রাজ্যের ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকারের তিন রাজধানী তৈরির প্রস্তাব বিরোধী কৃষকদের প্রতিবাদসভায় হাজির হন ভূবনেশ্বরী। এরবালেম গ্রামের প্রতিবাদ সভায় তিনি বলেন, রাজধানীর জন্য নিজেদের কৃষিজমি ছেড়ে দিয়ে আপনাদের স্বার্থত্যাগের কথা আমরা জানি। ভেবেছিলেন, এতে আপনাদের ভবিষ্যত সমৃদ্ধ হবে। আমাদের পরিবার এখান থেকে রাজধানী সরানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে আপনাদের লড়াইয়ের পাশে রয়েছে।
১৫ দিন হল মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডির সচিবালয়, মুখ্যমন্ত্রীর অফিস বিশাখাপত্তনম, হাইকোর্ট কুর্নুলে সরানোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অমরাবতী এলাকার ২৯টি গ্রামের চাষিদের প্রতিবাদ চলছে। গতকাল নতুন বছরের শুরুর দিনই সস্ত্রীক চন্দ্রবাবু সেখানে যান উত্সব পালন না করে।
ঘটনাচক্রে অমরাবতীকে রাজধানী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চন্দ্রবাবুই। জগনমোহনের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, প্রাক্তন বিরোধী নেতা হিসাবে অমরাবতীর প্রতি রাজধানী হিসাবে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। কেন সেই অবস্থান ছাড়লেন?
চন্দ্রবাবু কৃষকদের সাহসের সঙ্গে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়ে মন্তব্য করেন, জগনমোহনকে তাঁর নিজের শহর পুলিভেন্দুলায় পালাতে হবে!