নাগাল্যান্ড প্রশাসনের একই ধরনের সিদ্ধান্তের পিছনে আছে পশু অধিকার সংগঠনগুলির জোট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান অ্যানিম্যাল প্রটেকশন অর্গানাইজেশনস (ফিয়াপো) এর উদ্যোগ। তারা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল, কঠোর ভাবে রাজ্যে পশুকল্যাণ সংক্রান্ত আইন চালু হোক, পাশাপাশি কুকুরের মাংসের বিক্রি, চোরাচালান ও তা খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। সংগঠনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বরদা মেহরোত্রা বলেছিলেন, আমরা ফের ডিমাপুরের জন্তু-জানোয়ারের বাজারের সাম্প্রতিক ছবি দেখে আতঙ্কে চমকে উঠেছি। সেখানে পশু মাংসের বাজারে ভয়াবহ খারাপ পরিবেশে কুকুরগুলোকে বস্তার সঙ্গে বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে বেআইনি ভাবে কেটে, খাওয়ার মাংস হিসাবে বিক্রির জন্য।
ফিয়াপো বৃহস্পতিবার ফের নাগাল্যান্ড সরকারকে অবিলম্বে রাজ্যে কুকুরের মাংস বিক্রি, চোরাচালান ও খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু করা, পশুকল্যাণ সংক্রান্ত বিধি কার্যকর করার আবেদন করে। ফিয়াপো বলেছে, পশু কল্যাণ বিষয়ক বিধি-আইন সম্পর্কে আরও সচেতনতার প্রসার ঘটাতে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খুশি মনে সহযোগিতা করবে তারা। তাদের আশা, রাজ্য সরকার তাদের প্রয়াসের পাশাপাশি জোরকদমে শিক্ষামূলক প্রচারও চালিয়ে বলবে, কীভাবে কুকুরের মাংসের চাহিদার ফলে সারমেয়দের ক্ষতি হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে জনমত তৈরিতে সাহায্য করবে।
ফিয়াপো বলেছে, তারা এ ব্যাপারে ২০১৬ থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। এই অঞ্চলে কুকুরের মাংসের ব্যবসার ওপর বেশ কিছু গোপন তদন্ত, অনুসন্ধান চালানোর দাবিও করেছে তারা। বলেছে, রাজ্য সরকার ২০১৬তেই কুকুরের মাংসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় কুকুরের মাংসের চোরাকারবার অব্যাহত রয়েছে। ফিয়াপোর দাবি, নিয়মিত অসম, পশ্চিমবঙ্গ থেকে নাগাল্য়ান্ডে কুকুরের অবাধে বেআইনি পাচার চলছে। অসমে ৫০ টাকায় একটা কুকুর কিনে নাগাল্যান্ডের খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। নাগাল্যান্ডের রাস্তায় ২০০ টাকা প্রতি কেজি দরে কুকুরের মাংস বিক্রি হয়, যা কুকুরপিছু ২০০০
টাকা দাঁড়ায়। তারা আরও বলেছে, ব্যাগে পুরে কুকুর পাচার করা নাগাল্যান্ড ও মিজোরামমুখী গাড়ি প্রায়ই আটকানো হয় অসমে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে সেগুলি বেরিয়ে যায়।