কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক সহ কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশে গ্রেফতারির অভিযোগ উড়িয়ে দাবি বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার। এদিন তৃণমূল অভিযোগ করে নারদ-মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়দের গ্রেফতারির পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। সেই প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা বলেন, এই গ্রেফতারির সঙ্গে রাজনীতির কোনও লেনাদেনা নেই। এই ৪ জনের বিরুদ্ধে আপাতত অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে তাই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি রাহুলের।
এদিন তিনি বলেন, এই গ্রেফতার নির্বাচনের আগে হলে বলা যেত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে তাই এই ঘটনা। কিন্তু এখন নির্বাচন মিটে গেছে। এই অভিযোগ যুক্তিহীন। তাঁর বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরহাদের বাড়ি যেতেই পারেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নিজাম প্যালেসে যাওয়া ঠিক নয়। কটাক্ষের সুরে রাহুল বলেন, উনি পদের অপব্যবহার করছেন। তাঁর বক্তব্য, আদালতে যেতে পারেন। আইনের রাস্তাও খোলা আছে। অপরাধীদের সঙ্গে পৌঁছে যাওয়া ঠিক কথা নয়।
উল্লেখ্য, আজ সকালে আচমকাই বাড়িতে গিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দুই মন্ত্রী-সহ চারজনকে। এরপর নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে গিয়ে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো হয়। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের কাছ থেকে অনুমতি মেলার পর নারদকাণ্ডে চার অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আজ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করবে সিবিআই। পাশাপাশি, এই চারজনকেও আদালতে পেশ করা হবে। অন্যদিকে, নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসের ১৫ তলায় বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রর সঙ্গে।
এদিকে নারদ-মামলায় গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রেফতার নয় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী? বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্যই কি ছাড়? প্রশ্ন তৃণমূলের। এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, তৃণমূল ঠিক করবে না কি কাকে গ্রেফতার করা হবে? যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।