কলকাতা: নারদ মামলায় তৃণমূল নেতা, মন্ত্রীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের। নারদকাণ্ডে নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিতে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। মদন মিত্রর গ্রেফতারির প্রতিবাদে কামারহাটির বিটি রোডে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। হুগলির আরামবাগ-কলকাতা রাজ্য সড়কের গৌরহাটি মোড়ে আধঘণ্টা পথ অবরোধ শুরু হয়। নারদ-মামলায় ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আসানসোল হটন মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা।


নারদ মামলায় একসঙ্গে তৃণমূলের তিন নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করল সিবিআই। গ্রেফতার করা হল কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকেও। সোমবার সকালে নারদ-মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে গিয়ে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো হয় চার নেতা-মন্ত্রীকে। এরপরই সেখানে পৌঁছন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


সূত্রের খবর, রাজ্যপালের কাছ থেকে অনুমতি মেলার পর নারদকাণ্ডে চার অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আজ সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করবে তদন্তকারীরা। তার আগে, এদিন সকালে চারজনকে নিয়ে আসা হয় নিজাম প্যালেসে। সেখানেই তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় অ্যারেস্ট মেমো। সূত্রের খবর, এই চারজনের পাশাপাশি, নারদকাণ্ডে আরেক অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধেও আদালতে চার্জশিট পেশ করবে সিবিআই।


নিজাম প্যালেসে তৃণমূল নেতা, মন্ত্রীদের গ্রেফতারের পরই সেখানে গেটের বাইরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। ফিরহাদ হাকিমকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসার সময় মন্ত্রীর বাড়ির সামনে তৃণমূল কর্মীরা পথ অবরোধ করেন। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তাঁরা।


উল্লেখ্য, নারদ-মামলায় গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রশ্ন, একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রেফতার নয় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী? বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্যই কি ছাড়? এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, আমার অনুমতি নেয়নি সিবিআই, চার্জশিট পেশে রাজ্যপালের অনুমোদন বেআইনি।