কলকাতা: সপ্তাহের শুরুতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। নারদ মামলায় একসঙ্গে তৃণমূলের তিন নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করল সিবিআই। গ্রেফতার করা হল কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকেও। নারদ-মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আর এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।


এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, বিধানসভা পুরোদস্তুর বিপর্যস্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখিয়ে দানবিক শক্তি প্রয়োগ করল বিজেপি। প্রমাণিত যে ৬ বছরে আগের একটা মামলা টানতে টানতে এখানে এসে ফেলল। যেখানে আমাদের সবথেখে বড় গুরুত্ব করোনা মোকাবিলা। কলকাতার মুখ্য প্রশাসক সহ এবং রাজ্য সরকার সর্বাত্মকভাবে দায়িত্ব পালন করছে। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের ঘটনা ঘটাল। সম্পূর্ণভাবে আদৌ আইনি কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিধানসভা স্পিকারের মতামত নেওয়া হয়নি।


কুণাল ঘোষের কথায়, ভিডিও অনুযায়ী, মুকুল রায়ের আগে গ্রেফতার করা উচিত। কারণ টাকা নিয়ে এসপি মির্জাকে টাকা দাও বলে ভিডিওতে বলতে শোনা গিয়ছে। মুকুল রায়কে বিজেপিতে এনে ছায়া দেওয়া হল। মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কু দেব পণ্ডাকে কেন তুলে আনা হল না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র। তিনি বলেন, বিপর্যস্ত বিজেপি, মানসিক অবসাদগ্রস্থ  বৃদ্ধকে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। আর আজ, সব সীমা ছাড়িয়ে গেল। চার্জশিট দেওয়ার জন্য সকালে তুলে আনার কোনও দরকার ছিল না। প্রয়োজনে আইনি পদ্ধতি অবলম্বন করবেন। এই ধরনের আয়োজন করার প্রয়োজন ছিল না। তাঁর প্রশ্ন, কে অধিকার দিয়েছে লকডাউন ভেঙে এত জন বাইরের জওয়ানকে তুলে এনে পাড়ায় পাড়ায় ঘোরাতে।


এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসছে, তা যাতে রাজ্যে ভেসে না আসে তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে প্রশাসনকে। ইন্ধন, প্ররোচনা দেওয়ার কাজ করলেন কেন? এখন তাঁদের কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ? ভোটের ফলের পরে এটা স্পষ্ট, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ একটা কলঙ্কজনক অধ্য়ায়।  তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ওদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। বিজেপিকে চিনে রাখুন।