কলকাতা: তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক সহ কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নিজাম প্যালেস। দফায় দফায় ইট বৃষ্টি। ইট ছোড়া হয় সিবিআই দফতরকে লক্ষ্য করে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি তৃণমূল কর্মীদের। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন নেতা কর্মীরা। ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা।
নারদ মামলায় এদিন ২ মন্ত্রী সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নারদ-মামলায় গ্রেফতার ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। আজ সকালে আচমকাই বাড়িতে গিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দুই মন্ত্রী-সহ চারজনকে। এরপর নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে গিয়ে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো হয়। আর এই অবস্থায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। প্রথমে এজিসি বোস রোডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। এই অবস্থায় তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বর্তমানে বাইরে থেকে রাজ্য পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসের ১৫ তলায় ২ ঘণ্টারও বেশি বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রর সঙ্গে। এই গ্রেফতারি বেআইনি, গ্রেফতার করা হোক তাঁকেও, সিবিআই অফিসারদের জানান মুখ্যমন্ত্রী, দাবি তৃণমূল নেতা অনিন্দ্য রাউতের। পরে সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশকুমার সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজাম প্যালেসে যান জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মাও। কিছুক্ষণ থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
এদিন নিজাম প্যালেসে যান তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় ও দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন সহ তৃণমূলের বিধায়করা। এদিকে নারদ-মামলায় গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রেফতার নয় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী? বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্যই কি ছাড়? প্রশ্ন তৃণমূলের। আমার অনুমতি নেয়নি সিবিআই, চার্জশিট পেশে রাজ্যপালের অনুমোদন বেআইনি। প্রতিক্রিয়া বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের।