কলকাতা: নারদ-মামলায় গ্রেফতার ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে গিয়ে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো হয় চার নেতা-মন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের কাছ থেকে অনুমতি মেলার পর নারদকাণ্ডে চার অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আজ আদালতে চার্জশিট পেশ করবে সিবিআই। পাশাপাশি, এই চারজনকেও আদালতে পেশ করা হবে। 


যে ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশনে এই কেলেঙ্কারির সূত্রপাত, তাঁর প্রতিক্রিয়াও জানা গেছে। তিনি বলেছেন, সিবিআই চারজনকে গ্রেফতার করায় তিনি খুশি। কিন্তু গ্রেফতারদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী নেই কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।


ম্যাথু স্যামুয়েল বলেছেন, তাঁর কাছে যে খবর রয়েছে, তাতে শুভেন্দু অধিকারি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। এরপরও তাঁকে গ্রেফতার করা হল না,সেই প্রশ্ন তুলেছেন নারদ-কর্তা।  তিনি বলেছেন, সুবিচার পেতে দেরি হল অনেকটাই। কিন্তু দেরি হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চার জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে আমি সন্তুষ্ট। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীও আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। তা তো ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে। তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হল না কেন।


অন্যদিকে, নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসের ১৫ তলায়  বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রর সঙ্গে। এই গ্রেফতারি বেআইনি, গ্রেফতার করা হোক তাঁকেও, সিবিআই অফিসারদের জানান মুখ্যমন্ত্রী, দাবি তৃণমূল নেতা অনিন্দ্য রাউতের। পরে সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশকুমার সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


নিজাম প্যালেসে যান জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মাও। কিছুক্ষণ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। 


এদিন নিজাম প্যালেসে যান তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় ও দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেনও। 


নারদ-মামলায় গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রেফতার নয় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী? বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্যই কি ছাড়? প্রশ্ন তৃণমূলের। আমার অনুমতি নেয়নি সিবিআই, চার্জশিট পেশে রাজ্যপালের অনুমোদন বেআইনি। প্রতিক্রিয়া বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের।