কলকাতা: নারদ মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি আজই আবেদন জানানো হবে রাজ্যের চার হেভিওয়েট অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে। নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আজই হাইকোর্টে আবেদন করা হবে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। জানা গেছে, আজ দুপুর ২ টোয় করা হবে দৃষ্টি আকর্ষণ।
উল্লেখ্য, নারদ মামলায় নাটকীয় মোড় আসে গতকাল রাতে। গতকাল সকালে গ্রেফতার করা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। সন্ধেয় সিবিআই আদালত তাঁদের জামিন দেয়। রাতে কলকাতা হাইকোর্ট জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করে। এরপর চারজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। ভোররাতে অসুস্থতার জন্য মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে এলেও কোনও পরীক্ষা না করিয়ে ফের জেলেই ফিরে যান। বুধবার এই মামলার ফের শুনানি হবে।
এদিকে জানা গেছে যে, সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছে সিবিআই। নারদকাণ্ডে রাজ্যের ৩ বিধায়ক ও প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতারের ঘটনায় ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজ, কিছুক্ষণের মধ্যে এই ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছে সিবিআই।
জানা গেছে, অসুস্থ মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে ভর্তি দু’জন। সকালে এসএসকেএম-এ আনা হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। গতকাল হাইকোর্ট তাঁদের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়, এই চারজনকেই প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অসুস্থ বোধ করায় ভোররাতে, পৌনে চারটের সময় মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায় কোনও পরীক্ষা না করিয়ে জেলে ফিরে যান। মদন মিত্রের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাঁকে অক্সিজেন দিতে হয়। শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও শ্বাসকষ্টের কারণে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়েছে বলে এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর। মদন মিত্র রয়েছেন এসএসকেএমের উডবার্ন ব্লকের ১০৩ নম্বর কেবিনে। শোভন চট্টোপাধ্যায় ১০৬ নম্বর কেবিনে রয়েছেন।
প্রেসিডেন্সি জেলে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম। রাতে একবার অসুস্থতা বোধ করায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর আবার জেলে ফিরিয়ে আনা হয়। জেল সূত্রে খবর, সুব্রত এবং ফিরহাদের অসুস্থতার কারণে তাঁদের পরীক্ষা করেন জেলের চিকিত্সসকরা। সকালে প্রেসিডেন্সি জেলে যান ফিরহাদের কন্যা।