নয়া দিল্লি: সরযূর তীরে অগুন্তি ভক্ত সমাগমে নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল রামলালার। ২২ জানুয়ারিতে ৮৪ সেকেন্ডের মাহেন্দ্রক্ষণে নব নির্মিত রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন মোদি। 


লোকসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে থানথি টিভির সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে মোদি বলেন, তিনি যখন প্রথমবার রাম লালার মূর্তি দেখেছিলেন তখন তার চিন্তাভাবনা এক লহমায় বদলে গিয়েছিল। মোদি বলেন, "যখন আমি রাম লালার সামনে পৌঁছলাম, প্রথমে আমি তার পা এবং তারপর তার চোখ দেখলাম এবং সেই রূপ দেখে আমি সেখানেই যেন আটকে গেছিলাম। আমার মনে আমি শুনতে পাচ্ছিলাম যে রামলালা আমাকে বলছেন যে ভারতের সময় এসেছে এবং দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে।' 


সাক্ষাৎকারের সময় তিনি কীভাবে অনুষ্ঠানে যুক্ত হলেন তা নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি জানান যে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি নিজেকে আধ্যাত্মিক কার্যকলাপে নিমগ্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।


প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, "আমি যখন অযোধ্যায় পৌঁছলাম, প্রতিটি পদক্ষেপে আমি ভাবছিলাম যে আমি এখানে শুধুমাত্র প্রাণ প্রতিষ্টার জন্য এসেছি নাকি ভারতের নাগরিক হিসাবে এখানে এসেছি? সমস্ত পথ ধরে আমি অনুভব করেছি যে আমি ভারতের একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে সেখানে যাচ্ছি এবং কোথাও প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় আমাকে স্পর্শ করেনি"।                                 


আরও পড়ুন, মন্দিরে পুজো করতে গিয়ে অদ্ভূত কান্ড ঘটালেন পূজারি, রীতি পালন করতে গিয়ে অজ্ঞান!


প্রসঙ্গত প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর মোদি বলেছিলেন, 'প্রভু শ্রী রামের কাছে আজ ক্ষমাও চাইছি। কারণ, আমাদের ত্যাগ ও তপস্যায় কিছু ঘাটতি নিশ্চয়ই ছিল, তাই এই কাজ সম্পন্ন করতে আমাদের এত বছর সময় লেগেছে। আজ সেই ঘাটতি পূরণ হয়েছে। আমার বিশ্বাস, প্রভু রাম আজ আমাদের ক্ষমা করবেন। তুলসীদাস লিখেছিলেন, ত্রেতা যুগে অযোধ্যায় রামের আগমনে খুশিতে ভরে উঠেছিল গোটা দেশ। যে আপত্তি উঠেছিল, তার অন্ত হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানেও ভগবান রাম বিরাজমান। সংবিধান তৈরির পরেও ভগবান রামের অস্তিত্ব নিয়ে দীর্ঘ লড়াই চলেছে। অবশেষে ন্যায় রক্ষা হয়েছে।' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে