ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুকের ৭০তম জন্মবার্ষিকীতে যোগ দিতে দু’দিনের জন্য ভুটান সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখান থেকেই দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ খুললেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। গভীর শোক প্রকাশ করে বললেন, আজ অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এসেছি। দিল্লির বিস্ফোরণে যেসব পরিবার স্বজন হারালো, তাদের সমবেদনা । সোমবার সন্ধের ঘটনা পুরো দেশকে আঘাত দিয়েছে। ক্ষত তৈরি করেছে। 

Continues below advertisement

ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি 

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, সারারাত ঘটনার তদন্তে নিয়োজিত সবকটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।  প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দ্বর্থ্যহীন ভাষায় বুঝিয়ে দেন, এই ষড়যন্ত্রে জড়িতদের ছাড়া হবে না। তদন্ত হবে গভীরে গিয়ে। এজেন্সিগুলি এই ঘটনার শিকড় পর্যন্ত পৌঁছবে। ষড়যন্ত্রকারীদের রেহাই দেওয়া হবে না।

Continues below advertisement

 শোকাহত পরিবারগুলির পাশে থাকার বার্তা 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় যে পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছে, পুরো দেশ তাদের দুঃখের ভাগীদার।  তিনিও শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনদের পাশে আছেন। তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে, নিরাপত্তা ও আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা নিরপেক্ষ তদন্ত করে। দ্রুত তদন্তের নিষ্পত্তি করে।   অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজকের দিনটি ভুটান, রাজপরিবার এবং বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাসী সব মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  ভারত ও ভুটানের মধ্যে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আন্তরিক, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে।  উভয় দেশের সাধারণ ঐতিহ্যকে তুলে ধরে এই যোগসূত্র।  প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগদান করা কেবল ভারতের জন্য নয়, তাঁর নিজের জন্যও একটি দৃঢ় সংকল্প ও প্রতিশ্রুতির প্রতীক। তিনি বলেন, ভারত সবসময় ভুটানের পাশে থাকবে এবং উভয় দেশের সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হবে।