নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার ভারতের মিডনাইট স্ট্রাইক 'অপারেশন সিঁদুর'-এ একশোরও বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির এখনও হিসেব চলছে। পাশাপাশি জারি রয়েছে 'অপারেশন সিঁদুর'-ও। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বদল বৈঠকে এমনই বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর এর মধ্যেই পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রত্যাঘাত নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন পিএমও-র আধিকারিকরা। ছিলেন প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকরা। জরুরি বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক, শক্তি, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিবেরা। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সব মন্ত্রকের মধ্যে "কার্যকর্মের ধারাবাহিকতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার জন্য" সমন্বয়ের আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে ছিল নাগরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, ভুল তথ্য এবং ভুয়া খবর প্রতিরোধের প্রচেষ্টা এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আজ পাকিস্তানের বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতের করা পদক্ষেপকে এককাট্টা হয়ে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বিরোধীরা। পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে হিনদু নিধনের পরও সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল বিরোধীরা। সীমান্তের কিছু কিছু এলাকায় দুঃসাহস দেখাচ্ছে সেটাও বিরোধীদের জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এরই মধ্যে 'অপারেশন সিঁদুরে'র বদলা নিতে, ভারতের ১৫টি জায়গায় সেনা ছাউনিকে টার্গেট করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দিল ভারত। মাঝ আকাশেই পাকিস্তানের সেই সমস্ত ড্রোন ও মিসাইল ধ্বংস করে দিল ভারতের S-400। বুধবার রাতে ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহার করে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ১৫টি সেনা ছাউনিকে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের হাতে থাকা অত্যাধুনিক অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম S-400 দিয়ে সেই সমস্ত ড্রোন ও মিসাইল মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
তবে ভারতীয় সেনার অভিযানে কার্যত ল্যাজেগোবরে হওয়ার পরেও এখনও ফাঁকা আওয়াজ আর ঝুরি ঝুরি মিথ্যে আস্ফালন শোনা যাচ্ছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মুখে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, আমাদের পাকিস্তান ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত ছিল যে কখন শত্রুপক্ষের (ভারতের) বিমান উড়বে আর কখন আমরা তাদের সমুদ্রে ছুড়ে ফেলে দেব। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ভারতের এই যুদ্ধ ঘোষণার পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে। ইতিমধ্যেই জবাব দেওয়া শুরু হয়েছে। যোগ্য জবাব দেব।