কলকাতা: বৃহস্পতি থেকে শনি, প্রায় ৪৫ ঘণ্টা, কন্যাকুমারীতে স্বামী বিবেকানন্দর মূর্তির সামনে ধ্যানরত রইলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিরোধীদের অভিযোগ, যখন সব রাজনীতিবিদ প্রচারের আড়ালে, তখন নিজেকে প্রচারে রাখতেই মোদির এই ধ্যান কৌশল। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও (BJP)।


ভোট শেষ। ধ্যান শেষ। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ২ টো দিনই ছিল প্রচারে নিষেধাজ্ঞা। এই ২ দিন ধ্যানরত অবস্থাতেই ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। শনিবার সন্ধে ৬টায় শেষ হল শেষ দফার ভোট। বিকেলে মোদির ধ্যানভঙ্গ।                               


তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আপনার ধ্যানে কোনও গরিবের জীবনের সমস্যা মিটবে? যদি হয় আমার কোনও সমস্যা নেই। আপনি রোজ বসুন। যদি আমি ধ্যান করতে যাই, তা টেলিকাস্ট করার জন্য ১০০ কোটি খরচ হয়, তা তো পাবলিকের টাকা। ট্যাক্স পেয়ারদের টাকা নষ্ট করছে। ১০০ কোটি টাকা ঠিকমতো খরচ করলে, হাসপাতাল তৈরি করা যেত, রাস্তা তৈরি করা যেত। যে ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছেন, কমকরে ৩ লক্ষ লোক টাকা পেতেন।'  


আরও পড়ুন, ৩৩ বছর আগেও বিবেকানন্দ রকে মোদি, ১৯৯১ সালের ছবি হঠাৎ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়


২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষে, নরেন্দ্র মোদি গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রতাপগড়ে। তখনও তিনি প্রধানমন্ত্রী হননি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৯ সালে প্রচারের শেষে গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথে।


পশ্চিম এবং উত্তর ভারতের পরে এ বার তাঁর গন্তব্যস্থল ছিল দক্ষিণ কন্যাকুমারী।                                                                  


৪ জুন জানা যাবে জনতার রায়। প্রচার শেষে ১ জুন পর্যন্ত ধ্যানে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পূর্ব ঘোষণা মতোই তিনি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ু পৌঁছেছেন। ভারতের দক্ষিণতম প্রান্ত কন্যাকুমারীতে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যান শুরু করেন নরেন্দ্র মোদি। রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেও তিনি এমন কঠিন রীতি পালন করেছিলেন ।


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে