নয়া দিল্লি: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাল্টা অ্যাকশনে ভারত। দিকে দিকে চলছ চিরুনি তল্লাশি। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আজ সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সন্ধে ৬টায় সংসদ ভবনে এই বৈঠক হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। 

এরই মধ্যে বড় বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিহতের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর। পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মৃতিতে ২ মিনিট নীরবতা পালন করেন তিনি। পহেলগাঁওতে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রধানমন্ত্রীর করলেন প্রধানমন্ত্রী। হাতজোড় করে প্রণাম করে 'ওঁ শান্তি' মন্ত্রপাঠ করেন তিনি। এরপরই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে চরম বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। 

এদিন বিহারের মধুবনিতে অনুষ্ঠান থেকে মোদি বলেন, 'কাশ্মীরে বেছে বেছে হিন্দু নিধন করা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে নিরীহদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। এই হামলা শুধু পর্যটকদের ওপর নয়, এটা ভারতের আত্মার ওপর হামলা। হামলাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীরা কল্পনাও করতে পারবে না, তাদের কী শাস্তি হতে চলেছে। হামলাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেবে ভারত। ১৪০ কোটি মানুষের ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের কোমর ভাঙব। হামলাকারীদের কল্পনাতীত সাজা দেব'।                                              

এদিকে হামলার মুহূর্তের ভয়াবহ ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। ধর্মীয় পরিচয় দেখে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে খুন করা হচ্ছে সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে এসেছে। প্রকাশ্যে হামলার হাড়হিম করা ফুটেজ সবক'টি। 

জানা গিয়েছে, আজ কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি দাবি করে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ, তা নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকে আলোচনা করতে হবে।                                       

অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলার পাল্টা ভারতের কূটনৈতিক স্ট্রাইক, প্রবল চাপে পাকিস্তান। চাপের মুখে পড়ে এবার শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করল ইসলামাবাদ। আজ মধ্যরাতে করাচি উপকূলে বিশেষ ইকোনমিক জোনে ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করতে চলেছে পাক সরকার। করাচির সমুদ্রতীরে চলছে মিসাইল উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত।