চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও সম্মেলনের আগে হালকা মেজাজে তিন রাষ্ট্রপ্রধান। জিনপিঙের দিকে আঙুল দেখিয়ে হাসি মুখে চোখের ইশারা মোদির। ইতিবাচক হাসি চিনা প্রেসিডেন্ট শি-র ঠোঁটেও। আর সঙ্গে দাঁড়িয়ে পুতিনেরও আড়চোখে ইঙ্গিত। চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও সম্মেলনে এই ছবিই এখন চর্চার কেন্দ্রে। এসসিও সম্মেলনে বক্তব্য রাখার আগে, হালকা মেজাজে দেখা গেল তিন রাষ্ট্রপ্রধানকে। একান্তে আলোচনা করতে দেখা গেল বেশ কিছুক্ষণ। কী কথা হল, এ নিয়ে নানা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞের নানা ধারণা । কিন্তু এখনও তা নিয়ে নিশ্চিত তথ্য নেই।
এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়ে আগেই চিনে পৌঁছেছিলেন পুতিন। শি জিনপিং নিজে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। দুই রাষ্টনেতার কথাও হয়েছে। এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও । এদিন মঞ্চেই মোদি এবং জিনপিঙের সঙ্গে তাঁর সৌজন্য বিনিময় হয়। মোদিকে দেখেই এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরেন পুতিন। এরপর হালকা মেজাজে কথায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন মোদি, জিনপিঙ ও পুতিন।
জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে 'সীমান্ত সন্ত্রাস' প্রসঙ্গ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপ নিয়ে সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝেই রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেখা করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। দেশের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি রবিবার জানিয়েছেন, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্ত সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলেছেন মোদি। চিনও এই বিষয়ে ভারতের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছে। তবে এই আলোচনার পাকিস্তানকে নিয়ে চিনের বক্তব্য পরিষ্কার ভাবে জানা যায়নি এখনও। চিনের তিয়ানজিনে সাংহাই শীর্ষ সম্মেলনের বৈঠকে বক্তব্য রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছেন, এসসিও বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। গোটা বিশ্বের কূটনীতিকদের নজর এই আলোচনার দিকে ।
কী আলোচনা হতে পারে ?
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, খনিজ তেল এবং বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা। সেই বৈঠকে উঠতে পারে ট্রাম্প ও নয়া শুল্কনীতি প্রসঙ্গও? পুতিন, জিনপিং, মোদির এই আলোচনা কি অস্বস্তি বাড়াতে পারে আমেরিকার? বলবে ভবিষ্যৎ।