কলকাতা: করোনা রোগীদের শুশ্রুষায় একটি হাই প্রেসার ভেন্টিলেটর তৈরি করলেন নাসার ইঞ্জিনিয়াররা। এটির নাম ভেন্টিলেটর ইন্টারভেনশন টেকনোলজি অ্যাক্সেসিবল লোকালি, সংক্ষেপে ভাইটাল। আমেরিকার নিউ ইয়র্কের আইকান স্কুল অফ মেডিসিনে এ সপ্তাহেই একটি কঠিন পরীক্ষায় এই ভেন্টিলেটর উত্তীর্ণ হয়েছে।

যে রোগীদের করোনা লক্ষণ তেমন প্রকট নয়, তাঁদের জন্য তৈরি হয়েথে এই ভেন্টিলেটর, যাতে করোনায় প্রবলভাবে আক্রান্তরা অন্য ভেন্টিলেটরের সাহায্য পেতে পারেন। নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর মাইকেল ওয়াটকিনস বলেছেন, তাঁরা মহাকাশযান নির্মাণে দক্ষতা অর্জন করেছেন, চিকিৎসা বিষয়ক যন্ত্রপাতিতে নয়। কিন্তু দুর্দান্ত ইঞ্জিনিয়ারিং, টানা পরীক্ষা ও দ্রুত যন্ত্রপাতি তৈরি তাঁদের বিশেষত্ব। তাই তাঁদের ল্যাবরেটরির লোকজন যখন বুঝতে পারলেন, এই মুহূর্তে চিকিৎসক সম্প্রদায় ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো দরকার, তখনই নিজেদের ক্ষমতা ও দক্ষতা নিয়ে এগিয়ে এলেন তাঁরা।

নাসা এখন এই ভেন্টিলেটরের এফডিএ সিলমোহরের অপেক্ষায়। তারা জানিয়েছে, ভাইটাল দ্রুত তৈরি করা যাবে, সাধারণ ভেন্টিলেটরের থেকে সহজে দেখভালও করা সম্ভব। অনেক কম জিনিসপত্র দিয়েই এই ভেন্টিলেটর তৈরি করা সম্ভব, বিশেষ করে এমন জিনিসপত্র দিয়ে, যা সহজলভ্য। এর ডিজাইন এমন, যা সহজেই নিয়ে গিয়ে বসানো যায় কনভেনশন সেন্টার বা হোটেলের মত অস্থায়ী কোয়ারান্টাইন সেন্টারগুলিতে। চিকিৎসক মহলও এই ভেন্টিলেটরের কাজে খুশি, আইকান স্কুল অফ মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ম্যাথু লেভিন বলেছেন, প্রত্যাশামতই নাসার এই ভেন্টিলেটর দারুণ কাজ করেছে, চিকিৎসকরা মনে করছেন, এই ভেন্টিলেটর আমেরিকা ও বিশ্বের অন্যত্র করোনা রোগীদের জীবনদায়ী ব্যবস্থায় রাখতে সক্ষম।

তবে এই ভেন্টিলেটর হাসপাতালের এতদিনের ভেন্টিলেটর ব্যবস্থার বিকল্প হতে পারবে না, এগুলির সময়সীমা ৩ থেকে ৪ মাস, তৈরি হয়েছে শুৎু করোনা রোগীদের জন্য। সাধারণ ভেন্টিলেটর চলে বছরের পর বছর, নানারকম চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সেগুলির ব্যবহার হয়।