নয়াদিল্লি: করোনায় ভারতে এখনও পর্যন্ত মৃত ২৬। আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের ওপর। এদের মধ্যে ‘করোনামুক্তি’ হয়েছে ৮৫ জনের।
এই অবস্থায় মারণ কোভিড-১৯ যেন আর শাখা প্রশাখা বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়ে চূড়ান্ত তৎপর কেন্দ্র। একই সঙ্গে তৎপর রাজ্য সরকারগুলোও। মঙ্গলবার রাত থেকে টানা ২১ দিন গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষ কোনও ক্ষেত্র ছাড়া, আকাশ, রেল, সড়ক ও জল পরিবহণ একেবারে বন্ধ। এরই মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে রাজ্যগুলো নিজেদের মতো করে উদ্যোগ নিয়েছে। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, মাইলের পর মাইল হেঁটেও কত মানুষ বাড়ি ফিরেছে। গত ৭২ ঘণ্টায় স্রেফ উত্তরপ্রদেশেই ফিরেছে দেড় লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। জীবিকার কারণেই তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছিলেন। করোনা আবহে কাজ চলে গিয়েছে, অগত্যা বাড়ি ফেরা ছাড়া কোনও উপায়ও তাদের ছিল না। এমন লক্ষাধিক শ্রমিককে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করার কথা জানাল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
পড়ুন: ইমরানের করোনাভাইরাস হওয়ার খবর ঘিরে আলোড়ন, সত্যতা খারিজ করল পাক সরকার
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রতিটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন, বিগত দিনগুলোতে বাড়ি ফেরত দেড় লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করার সমস্ত বন্দোবস্ত করতে হবে। সরকার পরিচালিত ক্যাম্পগুলোর সহযোগিতা নিয়ে শ্রমিকদের খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
পড়ুন: করোনা যুদ্ধে ধোনির অবদান মাত্র ১ লাখ, ট্রোলড সোশ্যাল মিডিয়ায়, রুখে উঠলেন স্ত্রী সাক্ষী
উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য জানিয়েছেন, “সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিককে ১৪ দিন পর্যন্ত বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করা হবে।” একই নির্দেশ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। পরিযায়ী বিহারে ফেরত আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন থাকার পরই বাড়ি যেতে পারবে। এই সময়ে তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।