হায়দরাবাদ: করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিত্সায় গাফিলতির নানা অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে একটি মর্মান্তিক ভিডিও সামনে এল। তাতে মৃত্যুর ঠিক আগে করোনা আক্রান্ত রোগীর দাবি,  কাকুতি-মিনতি করা সত্ত্বেও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি।


পড়ুন: কলকাতায় করোনা আক্রান্তদের শরীরে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টবডি, স্থায়িত্ব সর্বাধিক ৩ মাস


ভিডিওতে হায়দরাবাদের একটি সরকারি হাসপাতালের শয্যা থেকে ৩৫ বছরের ওই কোভিড-১৯ আক্রান্তকে পরিবারকে বিদায় জানাতে দেখা গিয়েছে। রবি কুমার নামে ওই রোগীকে যখন তাঁর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, তখন তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিত্সা কর্মীদের গাফিলতির কথা বলতে শোনা গিয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওতে স্থানীয় ভাষায় রবি কুমারকে সম্ভবত তাঁর জীবনের শেষ কথাগুলি বলতে শোনা গিয়েছে। তিনি বলছেন, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। আমি ওদের কাতর আর্জি জানিয়েছি। কিন্তু ওরা গত তিন ঘন্টা ধরে অক্সিজেন চালু করেনি। আমি আর নিঃশ্বাস নিতে পারছি না, ড্যাডি। মনে হচ্ছে, আমার হৃদপিন্ড থমকে যাবে। বিদায় ড্যাডি। সবাইকে চিরবিদায়।


আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে পরিষেবা? দূরত্ব-বিধি মেনে চালানো সম্ভব নয়, স্বরাষ্ট্রসচিবকে জানিয়ে দিল মেট্রো 


বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি সরকারি চেস্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ফিরিয়ে দেওয়ার পর তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে তাঁর ভেন্টিলেটর সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তিনি এই ভিডিও রেকর্ড করেন। গাফিলতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনতে মৃতের পরিবার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে।


আরও অভিযোগ, রবির করোনা  টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেই রিপোর্ট রবির পরিবারকে তাঁর মৃত্যুর একদিন পর দেওয়া হয়। এর ফলে পরিবারের যে ৩০ জন রবির শেষকৃত্যে সামিল হয়েছিলেন, তাঁদেরও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। রবির বাবার অভিযোগ, রবির টেস্ট হয় ২৪ জুন। মৃত্যু হয় ২৬ জুন। কিন্তু টেস্ট রিপোর্ট দেওয়া হয় ২৭ জুন।