নয়াদিল্লি: মুম্বইয়ে জিগনেশ মেবানি, উমর খালিদের বৃহস্পতিবারের সভার অনুমতি শেষ মূহূর্তে পুলিশ বাতিল করে দেওয়ায় উদ্যোক্তারা এবার অনলাইনে ওই অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিল। কারণ এজন্য পুলিশি ছাড়পত্রের প্রয়োজন হবে না। যদি ওই অনুষ্ঠানের নির্ঘন্ট মেলেনি।
বৃহস্পতিবারের ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছিল ছাত্র ভারতী নামে একটি সংগঠন। সেখানে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল গুজরাতের বিধায়ক, দলিত নেতা জিগনেশ মেবানি ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা উমর খালিদের। কিন্তু ভীমা-কোরেগাঁওয়ের হিংসার জেরে দলিত গোষ্ঠীগুলির বিক্ষোভ, প্রতিবাদে অশান্ত মুম্বই ও মহারাষ্ট্রের নানা জায়গায় শান্তি বজায় রাখার কথা বলে অনুমতি বাতিল করে পুলিশ। তবে ক্ষিপ্ত ছাত্ররা রাস্তায় নেমে অনুমতি বাতিলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয়। শহরতলির যে ভাইদাস হলে জিগনেশ, খালিদের সভার আয়োজন হয়েছিল, সেখানে ঢুকতে থাকে তারা। সেখান থেকে অনেককে আটক করে জুহু থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পাশাপাশি গত ৩১ ডিসেম্বর পুনের ভীমা-কোরেগাঁওয়ের যুদ্ধের ২০০ বর্ষপূর্তির জন্য এলগার পরিষদ অনুষ্ঠানে 'উসকানিমূলক' ভাষণের অভিযোগে জিগনেশ, খালিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।
এদিকে জেডিইউ বিধায়ক কপিল পাতিল, যিনি জিগনেশ, খালিদের সভার উদ্যোক্তাদের অন্যতম, জানিয়েছেন, নাগপুরে মিছিল হতে পারে তাঁদের। ঘটনাচক্রে নাগপুরেই সদর কার্য্যালয় আরএসএসের। কপিল দাবি করেন, রাজ্যে ছাত্রদের মধ্যে অসন্তোষ 'দমনের' চেষ্টা করছে সরকার। ওদের চেহারা 'উন্মোচিত' হয়ে গিয়েছে। আমাদের পরের বড় আক্রমণ হবে নাগপুরে কেননা ওখানেই আরএসএসের প্রধান দপ্তর। সেখানেই সভা করব আমরা। মহারাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িকতা বাড়ছে, কিন্তু আমরা তা রুখব।