নয়াদিল্লি: ডেবিট কার্ড জালিয়াতি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্র। সরকারের আশ্বাস, এখনই এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই।


শুক্রবার, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, প্রাথমিক লক্ষ্য হল ক্ষতিকে রোখা। এরজন্য তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য ব্যাঙ্কের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন।

কত তথ্য ফাঁস হয়েছে, কত টাকার ক্ষতি হয়েছে, তা ব্যাঙ্কগুলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এধরনের কেলেঙ্কারি রুখতে ব্যাঙ্কগুলি ঠিক কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তাও জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।

দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক-- স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক তাদের বহু গ্রাহকের ডেবিট কার্ড ফিরিয়ে নিয়েছে। অন্যান্য ব্যাঙ্ক আবার কার্ড ব্লক করে দিয়ে গ্রাহকদের অনুরোধ করেছে, অবিলম্বে কার্ডের পিন নম্বর বদলে ফেলার।

বর্তমানে দেশে প্রায় ৬০ কোটি ডেবিট কার্ড গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ কোটি ‘রুপে’ সংস্থার তৈরি। বাকিগুলির নির্মাতা ভিসা ও মাস্টারকার্ড। এর মধ্যে এই জালিয়াতির ফলে প্রায় ৩২ লক্ষ গ্রাহককে প্রভাবিত করেছে। যার জেরে এই জালিয়াতিকে দেশের ব্যাঙ্কিং শিল্পের বৃহত্তম ফাঁস হিসেবে ধরা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, জালিয়াতির মাধ্যমে ১৯টি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা হয়েছে। আবার, কয়েকটি ব্যাঙ্ক অভিযোগ জানায়, তাদের গ্রাহকদের কার্ড বিদেশে ব্যবহার করে জালিয়াতি করা হয়েছে। তাদের মতে, গ্রাহকরা ভারতে থাকার সময় জালিয়াতরা তাঁদের কার্ড বিদেশে ব্যবহার করেছে।

এসবিআই প্রায় ৬ লক্ষ কার্ড ফিরিয়ে নিয়েছে। ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এবং অন্ধ্র ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহকদের এটিএম-ডেবিট কার্ড পাল্টে দিয়েছে। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে এটিম-ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর পাল্টে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক আবার গ্রাহকদের জানিয়েছে, নিজের ব্যাঙ্কের ছাড়া অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম না ব্যবহার করতে।

এদিকে, কেন্দ্রের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শক্তিকান্ত দাসের আশ্বাস, এখনই এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি জানান, কেন্দ্র দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তিনি জানান, এই হ্যাকিংগুলি যেহেতু কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়েছে, তাই কোথা থেকে হয়েছে, তা ঠিক বের হবে। এর জন্য যা যা করণীয়, অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গেই নেওয়া হবে।