নয়াদিল্লি: হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে পড়ুয়াদের টানা আন্দোলন, গত ৫ জানুয়ারি মুখ ঢাকা গুণ্ডাবাহিনীর ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মারধরের ঘটনা ঘিরে বিগত কিছুদিন ধরেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলার ঘটনার তদন্ত দিল্লি পুলিশ করছে। কিন্তু এতদিনেও একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এর পাশাপাশি, ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছেন পড়ুয়ারা।


পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম জগদীশ কুমারের অপসারণেরও দাবি করেছেন। পড়ুয়ারাই শুধু নয় শিক্ষক সংগঠনও উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ উপাচার্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে। ছাত্র সংসদ দাবি করেছে, একদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের হস্টেল ফি বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে, উপাচার্য স্বয়ং সরকারি বাসভবন নিয়ে রেখেছেন। ছাত্র সংসদের ট্যুইট- 'উপাচার্য ক্যাম্পাসে বাড়ি পাওয়া সত্ত্বেও আইআইটি দিল্লিতে সরকারি বাড়ি নিয়ে রেখেছেন। এতে ইনস্টিটিউটের ব্যয় বৃদ্ধি হয়। ইনস্টিটিউট চলে সরকারি খরচেই। আইআইটি দিল্লির ৩০০ বাড়ি রয়েছে। কিন্তু ফ্যাকাল্টির সংখ্যা ৫০০। এরফলে ইনস্টিটিউট অনেক শিক্ষককেই বাড়ি দিতে পারে না। ফলে হোজখাস এলাকা ও তার আশেপাশে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বাড়ি ভাড়া নিতে হয়।
দ্বিতীয় ট্যুইটে ছাত্র সংসদ লিখেছে, উপাচার্য আইআইটি-তে খুবই স্বল্প ভাড়ায় কোয়ার্টার নিজের কাছে রেখেছেন। অন্যদিকে, জেএনইউ-তে হস্টেল ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এর পুরোপুরি বিপরীত'।

ছাত্র সংসদের আরও অভিযোগ, 'উপাচার্য আইআইটি-তে যে বাড়ি রেখেছেন, বাজারে তার ভাড়া ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু এজন্য উপাচার্য মাত্র ১২০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। অনৈতিকভাবে ওই বাড়ি নিজের কাছে রেখেছেন উপাচার্য। উপাচার্যকে এভাবে করদাতাদের অর্থের এভাবে অপচয় করতে দেওয়া হচ্ছে কেন?'







বেশ কয়েকমাস ধরে হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন জেএনইউ-র পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, এই ফি বৃদ্ধি কার্যকর হলে জেএনইউ দেশের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যাবে। এছাড়াও তাঁদের যুক্তি, ফি বৃদ্ধি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ গরিব পড়ুয়া তা দিতে পারবেন না।