নয়াদিল্লি: জেএনইউ-এর সবরমতী হস্টেলে হামলার ঘটনায় আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-কে শুরু থেকেই নিশানা করেছে এসএফআই সহ আরও একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন। তাদের বক্তব্য, হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা যে লাগাতার আন্দোলন করছিল, তা ভণ্ডুল করতেই রাতের অন্ধকারে বর্বরোচিত হামলা চালায় এবিভিপি। সঙ্গে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পিছনে কর্তৃপক্ষকেও কাঠগড়ায় তুলেছে স্টুডেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সাধারন সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস। জেএনইউ-এর সভানেত্রী আক্রান্ত ঐশী ঘোষও আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই একই কথা বলেন। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এদিন পাল্টা বাম ছাত্র সংগঠনের ওপরই দায় চাপানোর চেষ্টা করল এবিভিপি।
আরও পড়ুন- ‘হীরক রাজত্বে পাঠশালায় আক্রমণ’, জেএনইউ হামলার তীব্র নিন্দায় পরমব্রত, সরব অনুপম, মিমি, নুসরতও
গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের নেতা ললিতের দাবি, “সবরমতী হস্টেলে হামলা হয়েছে। নতুন সেমিস্টারের আগে পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশনে বাধা দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।” আরও একধাপ এগিয়ে, এবিভিপি ‘অ্যাক্টিভিস্ট’ নিধি ত্রিপাঠীর অভিযোগ, এই হামলা পরিকল্পিত।
সিএএ ও এনআরসি-র প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়াদের সেই নাছোড়বান্দা, এককাট্টা আন্দোলন প্রতিহত করতে পুলিশ দিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। আক্রান্ত হন বহু পড়ুয়া। তারপর থেকেই সাময়িকভাবে জামিয়ার পঠনপাঠন বন্ধ রাখা হয়েছিল। নতুন বছরের শুরুতেই (৫ তারিখ জানুয়ারি) জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা। নিধির দাবি, “জামিয়াকে ফের অস্থির করে তুলতে এই দিনকে বেছে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে জেএনইউ-তে হামলা করা হয়েছে। ” শুধু তাই নয়, এবিভিপি-র এই ‘অ্যাক্টিভিস্টের’ দাবি, পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকে এই হামলায় মদত দিয়েছে। দিল্লি পুলিশ কেন এত দেরিতে এল, প্রশ্ন নিধির।
যদিও জেএনইউ-এর ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির-ই একাধিক মন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের মতো জেএনইউ-এর প্রাক্তনীরা তো বটেই হামলার নিন্দায় ট্যুইট করেছেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও।