ভিড়ে স্ট্যাচু অব লিবার্টি-কে টেক্কা স্ট্যাচু অব ইউনিটি-র, দাবি আধিকারিকদের

আনলক পর্ব শুরু হতেই ঘরের চার দেওয়াল ছেড়ে অনেকেই বেড়িয়ে পড়ছেন ঘুরতে। এই করোনাকালে পর্যটনের মানচিত্রে স্ট্যাচু অব লির্বাটিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে স্ট্যাচু অব ইউনিটি। গুজরাতের সরকারি আধিকারিকদের মতে কেভাদিয়ায় স্ট্যাচু অব ইউনিটি পারিবারিক টুরিস্ট স্পট।

Continues below advertisement
কেভাদিয়া: আনলক পর্ব শুরু হতেই ঘরের চার দেওয়াল ছেড়ে অনেকেই বেড়িয়ে পড়ছেন ঘুরতে। এই করোনাকালে পর্যটনের মানচিত্রে স্ট্যাচু অব লির্বাটিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে স্ট্যাচু অব ইউনিটি। গুজরাতের সরকারি আধিকারিকদের মতে কেভাদিয়ায় স্ট্যাচু অব ইউনিটি পারিবারিক টুরিস্ট স্পট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের এই মূর্তি বা স্ট্যাচু অব ইউনিটি একটি মাস্ট ভিজিট টুরিস্ট স্পট বা অতি অবশ্য ঘুরে দেখার মতো জায়গা। নর্মদা নদীর তীরে সাতপুরা ও বিন্ধ্যাচল পর্বতের মাঝখানে অবস্থিত কেভাদিয়া শহরে কয়েকটি ছোট-বড় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। গুজরাতের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রাজীব গুপ্তা বলেছেন, ’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই শহরকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে এটি পরিবারের সকলের কাছে এটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। পরিবেশগত দিক রক্ষা করে, ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। রাজীব গুপ্তাকে উদ্ধৃত করে এ কথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।‘‘ রাজীব গুপ্তা জানিয়েছেন আমেরিকার স্ট্যাচু অব লির্বাটির থেকে মোদির ভাবনায় গড়ে ওঠা এই স্ট্যাচু অব ইউনিটি-তে পর্যটকের সংখ্যা এখন বেশি। করোনাকালের আগে প্রতিদিন ১৩ হাজার পর্যটক আসতেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি দেখতে। অথচ গতমাসে আনলক পর্বে স্ট্যাচু অব লির্বাটিতে হাজির হয়েছিলেন দশ হাজার পর্যটক। রাজীব গুপ্তা জানিয়েছেন শুধু যে পর্যটন মানচিত্রে উপরের সারিতে স্ট্যাচু অব ইউনিটি উঠে এসেছে তাই নয়, এরফলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রত্যক্ষভাবে তিনহাজার মানুষ এই পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত। অপ্রত্যক্ষভাবে আয়ের রাস্তা খুলেছে ১০ হাজার মানুষের ক্ষেত্রে।এমনকি বাড়ির মহিলাদেরও এই পর্যটন কেন্দ্রে ছোট উদ্যোগপতির ভূমিকা দেখা যায়। ফলে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে কেভাদিয়া শহর ও তার মূল আকর্ষণ স্ট্যাচু অব ইউনিটির অবদান রয়েছে। গুজরাতের পর্যটন সচিব মমতা শর্মা বলেছেন, ’’ পরিবারের প্রত্যেকের জন্য এখানে কিছু না কিছু রয়েছে। প্রবীণদের জন্য যদি আরোগ্য ভ্যান থাকে, তো ছোটদের জন্য রয়েছে নিউট্রিশন পার্ক। এছাড়াও তাঁবুতে থাকা, নদীতে ঘুরে বেড়ানোর মতো বিষয়গুলিও রয়েছে।‘‘ যাঁরা প্রকৃতি ভালবাসেন তাঁদেরকেও নিরাশ করবে না কেভাদিয়া। মমতা শর্মা জানিয়েছেন সর্দার প্যাটেল জুওলজিকাল পার্ক, জিওডেসিক অ্যাভিয়ারি ডোম রয়েছে যেখানে বহ পশু-পাখির দেখা পাওয়া যায়।
Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola