নয়াদিল্লি: এবার থেকে গঙ্গায় বর্জ্যপদার্থ ফললেই ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। নির্দেশ জাতীয় পরিবেশ আদালতের।
গঙ্গাকে পুনরুজ্জীবিত করতে একগুচ্ছ সুপারিশ করল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বা জাতীয় পরিবেশ আদালত। যার মধ্যে বলা হয়েছে, হরিদ্বার ও উন্নাওয়ের মধ্যে গঙ্গাপাড়ের ১০০ মিটারের মধ্যে করা যাবে না কোনও নির্মাণ।
জাতীয় পরিবেশ আদালতের চেয়ারম্যান বিচারপতি স্বতন্ত্র কুমার সিংহের আরও নির্দেশ, গঙ্গায় বর্জ্যপদার্থ ফেললেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির থেকে ৫০ হাজার টাকা পরিবেশ ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। আদালত জানিয়েছে, গঙ্গার ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও বর্জ্যপদার্থ ফেলা যাবে না।
আগামী ২ বছরের মধ্যে নিকাশি নালা সাফাই থেকে শুরু করে নিকাশি শোধন কেন্দ্র সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। শুধু তাই নয়, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে কানপুরের জাজমৌ থেকে উন্নাওয়ের চর্ম-পার্কে সমস্ত চামড়ার কারখানা সরিয়ে নিয়ে যেতে উত্তরপ্রদেশ সরকাররে নির্দেশ দিয়েছে এনজিটি।
পাশাপাশি, গঙ্গার ঘাটে ও পাড়ে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করার জন্যও উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিবের নেতৃত্বাধীন একটি নজরদারি কমিটির নিয়োগ করেছে আদালত। ওই কমিটিতে আছেন আইআইটি অধ্যাপকরা এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা। পরিবেশ আদালতে নিয়মিত রিপোর্ট পেশ করবে ওই কমিটি।
এদিন গ্রিন প্যানেল গঙ্গা সাফাইয়ের কাজকে তিন পর্যায়ে বিভক্ত করেছে। সেগুলি হল— গৌমুখ থেকে হরিদ্বার (প্রথম পর্যায়ের প্রথম ভাগ), রহিদ্বার থেকে উন্নাও (প্রথম পর্যায়ের দ্বিতীয় ভাগ), উন্নাও থেকে উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত (দ্বিতীয় পর্যায়), উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত থেকে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত (তৃতীয পর্যায়) এবং ঝাড়খণ্ড থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত (চতুর্থ পর্যায়)।
গত ১৮ মাস ধরে এই মামলায় কেন্দ্র, উত্তরপ্রদেশ সরকার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে কথা বলার পর গত ৩১ মে রায়দান স্থগিত রেখেছিল পরিবেশ আদালত। এর আগে গৌমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত নির্দেশিকা ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ঘোষণা করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।