শ্রদ্ধায়-স্মরণে টুইট করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা থেকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সোশ্যাল মিডিয়ার শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশ থেকে শিবসেনা নেত্রী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী সহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ওম বিড়লা লিখেছেন, ‘সুষমা স্বরাজ একজন বাগ্মী ও জনপ্রিয় নেত্রী ছিলেন। মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল চমৎকার। তাঁর নীতি, বিশ্বাস আমাদের আগামিদিনে পথ দেখাবে।’ রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘ আমি তাঁকে একজন মহান বক্তা হিসেবে মনে রাখব, মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন,‘সুষমা স্বরাজ মহান নেতা, খুব ভাল বাগ্মী এবং আমাদের অনুপ্রেরণা।’ জেনারেল ভি কে সিংহ জানিয়েছেন সুষমা স্বরাজ ভারতীয় রাজনীতিতে অনিবার্য চিহ্ন রেখে গিয়েছেন।
পেশাগত জীবনে সুষমা স্বরাজ ছিলেন আইনজীবী। ১৯৫৩ সালের, ১৪ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার আম্বালা ক্যান্টনমেন্টে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন আরএসএসের সদস্য। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের হাত ধরে ১৯৭০ সালে সুষমার রাজনৈতিক জীবনে হাতেখড়ি।
চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে বহু সাফল্যের মুকুট রয়েছে সুষমার। মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। দিল্লির প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তিনি। ১৯৯৬ সালে ১৩ দিনের বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় সাহসী পদক্ষেপ করেছিলেন সুষমা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হিসেবে লোকসভার অধিবেশন সরাসরি টিভিতে সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নেন সুষমা। মোদি মন্ত্রিসভায় সাফল্যের সঙ্গে সামলেছেন বিদেশ মন্ত্রক।
২০১৬ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুষমা স্বরাজ। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয় তাঁর। অদম্য জেদ নিয়ে তারপরেও রাজনৈতিক জগতে ছাপ রেখে গিয়েছেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে শারীরিক কারণে সরে দাঁড়ান ভোট-যুদ্ধ থেকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট প্রয়াত হন তিনি।