মুম্বই: তিহাড় জেলে ফাঁসুড়ে নেই, তাই এখনও পর্যন্ত নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের শাস্তি কার্যকর করা যায়নি। কবে সেই শাস্তি কার্যকর করা হবে তা নিয়েও কোনও সরকারি ঘোষণাও হয়নি। তবে বিহারের বক্সার জেলে ফাঁসির দড়ি তৈরির বরাত আসার পর থেকেই নতুন জল্পনার জন্ম হয়েছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, চলতি মাসের শেষেই হয়ত দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের চার দোষীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। এরই মধ্যে সংবাদ শিরোনামে তামিলনাড়ুর ৪২ বছরের এক পুলিশ কনস্টেবল। নাম এস সুভাষ শ্রীনিবাসন। তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে ফাঁসুড়ে হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি।


আরও পড়ুন- নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত চারজনকেই রাখা হল তিহাড় জেলে, দ্রুত কার্যকর হতে পারে মৃত্যুদণ্ড


তামিলনাড়ুর রামনাথপুরমের প্রশিক্ষণ শিবিরে রয়েছেন শ্রীনিবাসন। ৬ ডিসেম্বর তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে ফাঁসুড়ে হওয়ার জন্য নিজের নাম প্রস্তাব করেন তিনি। তিহাড়ে ফাঁসুড়ে নেই, তামিলনাড়ুর একটি পত্রিকায় এই খবর দেখার পরই এই চিঠি লিখেছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে পুলিশে যোগদান করা এই কনস্টেবল চিঠিতে লিখেছেন, “নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও খুন ক্ষমাহীন জঘন্য অপরাধ। আমি দোষীদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এতে শাস্তি পক্রিয়ার বিলম্ব হবে না।”


আরও পড়ুন- বিহারের বক্সার জেলে তৈরি হচ্ছে নির্ভয়া মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসির দড়ি?


প্রসঙ্গত, সুভাষ তামিলনাড়ুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার হাত থেকে আন্না পদক পেয়েছেন। ২০১৩ সালে কুয়ো থেকে একটি শিশুকন্যাকে উদ্ধার করার জন্য তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয়। তামিলনাড়ুর সাহসী এই কনস্টেবল তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন, ফাঁসি পক্রিয়া কার্যকর করতে তাঁকে যদি অন্যান্য দফতর থেকে অনুমতি নিতে হয়, সেটাও করবেন তিনি। নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের সাজা প্রদানের গুরু দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হলে তিনি গৌরবান্বিত বোধ করবেন, চিঠি-তে একথাও লিখেছেন এস সুভাষ শ্রীনিবাসন।