গাঁধীনগর: গুজরাত বিধানসভা থেকে ইস্তফা দুই বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কের। এঁরা হলেন অল্পেশ ঠাকুর ও ধবলসিন জালা। আজ রাজ্যসভা উপনির্বাচনে তাঁরা দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ক্রস ভোটিং করেছেন বলে খবর। এক শীর্ষ কংগ্রেস নেতার দাবি, তাঁরা কংগ্রেস প্রার্থীদের বদলে বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। অল্পেশ বিধানসভা সদস্যপদ ছেড়ে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে মন্তব্য করেন, তিনি ‘সত্ জাতীয় নেতৃত্বে’র পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
গুজরাত থেকে খালি হওয়া দুটি রাজ্যসভা আসনের উপনির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ হয়। বিজেপি প্রার্থী কর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ওবিসি নেতা জুগলজি ঠাকুরকে। কংগ্রেস দাঁড় করায় চন্দ্রিকা চুদাসামা ও গৌরব পান্ড্যকে। ক্রস ভোটিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অল্পেশ বলেন, আমি সত্ জাতীয় নেতৃত্বের অনুকূলে ভোট দিয়েছি, যারা দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায়। বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে ভোট দিয়েছি। আমি ও জালা কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে ইস্তফা দিয়েছি। বিধানসভার স্পিকারকে ইস্তফাপত্র দিয়েছি আমরা।
রাধনপুরের বিধায়ক, গুজরাতের শীর্ষ এই ওবিসি নেতা কংগ্রেসে খুশি নন বলে জানান। তিনি ২০১৭-য় যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। তাঁর তাত্পর্য্যপূর্ণ মন্তব্য, কংগ্রেসে থেকে মানসিক চাপ ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। আজ সেই বোঝা থেকে মুক্ত হলাম। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই প্রতারণা ছাড়া কিছু পাইনি। রাহুল গাঁধীকেও বলেছিলাম, সত্ নেতাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা হতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হল, তিনি কিছু করতে পারেননি। আমাদের দলে অপমানিত হতে হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে নিজের সম্প্রদায়ের জন্য কিছু করতে পারিনি। কংগ্রেস আমায় বেইজ্জত করার চেষ্টা করেছে। দলের নেতারা ইস্তফা পর্যন্ত দিতে বলেছেন। তাই আজ আমি ও জালা ইস্তফা দিলাম।
সবরকান্ঠার বায়াদের বিধায়ক জালা বলেন, আমিও কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে পদত্যাগ করেছি। দলের আদর্শের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। দলের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করা কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে বহুবার অভিযোগ করলেও নেতারা কোনও ব্যবস্থা নেননি। দলের কর্মীরাও এ নিয়ে অসন্তুষ্ট। অল্পেশ ও জালা, দুজনেই বিজেপিতে যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
তবে গুজরাত বিধানসভার বিরোধী নেতা ধানানির দাবি, অল্পেশ ও জালা ছাড়াও দলের বাকি ৬৯ বিধায়কও দলীয় প্রার্থীদেরই ভোট দিয়েছেন।