সূত্রের খবর, রাহুল, প্রিয়ঙ্কা ও পি চিদম্বরম ও কেসি বেণুগোপালের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে পায়লটের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁকে জয়পুরে পর্যবেক্ষকের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই প্রস্তাব নিয়ে পায়লট তাঁর উত্তর এখনও দেননি।
পায়লট রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌতের বাসভবনে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ দেননি। এর আগে পায়লটকে বার্তা দিয়ে কংগ্রেস নেতা তথা মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওযালা বলেন যে, যদি দলে কেউ হতাশ হন, তাহলে তাঁদের দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান খোঁজা উচিত।
সুরজেওয়ালা বলেন, দল পরিবারের মতো। কেউ হতাশ বোধ করলে সেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের রাস্তা খোঁজা দরকার। সনিয়াজি ও রাহুলজি সহ কংগ্রেস নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি যে, সচিনজি ও অন্যান্য সদস্যদের জন্য কংগ্রেসের দরজা সবসময়ই খোলা।
কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে গেহলৌতের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে 'ঘোড়া কেনাবেচা'র মাধ্যমে সরকারকে অস্থির করে তোলার জন্য বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে।
কংগ্রেস দল ও তার সরকারকে দুর্বল করতে সমস্ত 'অগণতান্ত্রিক' কার্যকলাপের নিন্দা করা হয়েছে। দলবিরোধী কাজে দলের কোনও নেতা যুক্ত থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও পরিষদীয় দলের বৈঠকে জানানো হয়েছে।
গেহলৌত ও পায়লটের সংঘাতের জেরে রাজস্থান কংগ্রেসে সংকট দেখা দিয়েছে। গেহলৌত বিধায়ক ভাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে অস্থির করে তোলার অভিযোগ করেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লিতে রয়েছেন পায়লট।
এদিন পরিষদীয় দলের বৈঠকে ১০৯ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন বলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর বিধায়কদের জয়পুরের একটি হোটেলে পাঠানো হয়েছে। একটি বাসে করে তাঁদের ওই হোটেলে আনা হয়।