কলকাতা: আজ ডক্টরস ডে। আজ বাংলার রূপকার বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন। করোনাকালে চিকিৎসকদের নিরলস পরিশ্রম দেখেছে বিশ্ববাসী। জীবন বাজি রেখে লড়াই করছেন চিকিৎসকরা।  চিকিৎসদের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


চিকিৎসকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেছেন। তিনি লেখেন, ডক্টরস ডে-তে চিকিৎসকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ভারতের উন্নতি প্রশংসনীয়। যা পৃথিবীকে আরও সুস্থতার পথে যেতে সাহায্য করেছে। কয়েকদিন আগেও এই কথাই মন কি বাতে বলেছিলাম‍।


এদিন ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “ডক্টরস ডে’তে বিধানচন্দ্র রায় শ্রদ্ধা জানিয়ে চিকিত্‍সকদের কুর্নিশ মুখ্যমন্ত্রীর। ট্যুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়কে শ্রদ্ধা জানাই। কঠিন এই সময়ে চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যেভাবে অক্লান্তভাবে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে তাঁদের কুর্নিশ জানাই। কোভিড মোকাবিলায় তাঁদের ভূমিকা অতুলনীয়।“


মানব সভ্যতার প্রতি চিকিৎসদের অপরিসীম অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাতে এই দিনটি পালিত হয়। ১৯৯১ থেকে প্রতি বছর দেশজুড়ে জাতীয় ডক্টর্স ডে উদযাপিত হয়ে যাকে। এই দিনটির উদযাপন সারা বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন দিনে হয়ে থাকে। এই সংকটের সময়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন। কোভিড অতিমারী আরও একবার চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদান ও আত্মত্যাগের বিষয়টি সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছে।


কিংবদন্তী চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়কে শ্রদ্ধা জানাতে প্রথমবার উদযাপন করা হয় ডক্টর্স ডে। চিকিৎসাক্ষেত্রে তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি দিতে এই দিনটি প্রথমবার পালন করা হয়। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়। ১৮৮২-তে ১ জুলাই তাঁর জন্ম হয়েছিল। আর তাঁর মৃত্যু হয়েছিল ১ জুলাই, ১৯৬২। ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ অসামরিক সম্মান ভারতরত্নেও ভূষিত করা হয়েছিল তাঁকে। ১৯৯১-তে কেন্দ্রীয় সরকার ডক্টর্স ডে-র সূচনা করে।