নয়া দিল্লি: মুম্বইয়ের প্রমোদ তরীর মাদক মামলায় এবার নয়া মোড়। আরিয়ান খান গ্রেফতারের পর চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর মুম্বইয়ের জোনাল ডিরেক্টোর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে 'তোলাবাজির' অভিযোগ তুলেছেন এই মামলার এক সাক্ষী প্রভাকর সেইল। এদিকে, সোমবার রাতে এনসিবি কর্তার হঠাৎ দিল্লিতে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
মঙ্গলবরাই হাইকোর্টে আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্টদের জামিনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ঠিক তার কয়েক ঘন্টা আগেই সোমবার রাতে দিল্লিতে হাজির হন সমীর ওয়াংখেড়ে। সাংবাদিকদের তিনি সাফ জানিয়ে দেন ব্যক্তিগত কাজে রাজধানীতে এসেছেন তিনি। কেউ তাঁকে সমন করেনি। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন হিসেবে নসাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন, জামিন মিলবে আরিয়ানের? আজ আর্জির শুনানি বম্বে হাইকোর্টে
প্রভাকর সেইল একটি হলফনামার মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন যে একটি খালি কাগজে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁর হলফনামার মাধ্যমে দাবি করেছেন যে এনসিবি যে রাতে ক্রুজে অভিযান চালায় সেই রাতে তিনি মূল সাক্ষী কেপি গোসাভির সঙ্গে ছিলেন। সেই নথিতেই তিনি এই আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, মাদককাণ্ডে গোসাভির সঙ্গে ১৮ কোটির চুক্তি হয়েছিল শ্যাম ডি’সুজা নামে এক ব্যক্তির। তা থেকে ৮ কোটি টাকা এনসিবি-র জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েক দেওয়ার কথা ছিল।
অন্যদিকে, এনসিপি নেতা নবাব মালিক সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, জন্ম শংসাপত্রে তাঁর নাম সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে। কিন্তু ইউপিএসসি ফর্মে তাঁর নাম সমীর ড্যানদেব ওয়াংখেড়ে। সেই নথি তিনি টুইটও করেন। তিনি এও অভিযোগ করেছেন, "ওয়াংখেড়ের নাম 'সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে'। তিনি জন্মসূত্রে একজন মুসলিম। আমি তার জন্মের সার্টিফিকেট (অনলাইন) প্রকাশ করেছি। আমাকে এটি খুঁজে বের করার জন্য কঠোর চেষ্টা করতে হয়েছিল। সে বোগাস সার্টিফিকেটের আইআরএস চাকরি পেয়েছে... আমি তার 'বোগাসগিরি'-এর আরও কাজ প্রকাশ করব।"